ই-পেপার | বুধবার , ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেনযাত্রার চালক পটিয়ার সাজু, যাত্রী প্রধানমন্ত্রী

আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া :

পৃথিবীর দীর্ঘতম বেলাভূমি, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রথম রেলযাত্রা উদ্বোধনে নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১১ নভেম্বর) এ রেলযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে তিনি কক্সবাজার আইকনিক রেলষ্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে ২৬ মিনিটে রামু ষ্টেশনে যান। বেলা ১টা ২৮ মিনিটে কক্সবাজার স্টেশন থেকে ট্রেনটি রামুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে এবং বেলা ১টা ৫৪ মিনিটে ট্রেনটি রামু স্টেশনে পৌঁছায়। ২৬ মিনিটের ট্রেন যাত্রায় অন্য বগিগুলোতে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনী এই ট্রেনের চালকের আসনে ছিলেন চট্টগ্রামের পটিয়ার সন্তান সাজু দাশ। তিনি পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাপন দাশের পুত্র। সাজু দাশের মা কৃষ্ণা দাশ পরিবার পরিকল্পনা সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

 

জানা গেছে, সাজু ১৯৯৫ সালে পটিয়ার চক্রশালা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিডিট থেকে ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ২০০৪ সালে লোকোমাস্টার হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগদান করেন। দক্ষ চালক হিসেবে রেলওয়েতে তার সুখ্যাতি রয়েছে। উদ্বোধনী টেনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আবু রেজা নদভী এমপিসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সকল এমপি, জেলা প্রশাসকসহ সরকারী-বেসরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা এতে প্রথম রেলযাত্রার যাত্রী হিসেবে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন।

 

পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও কচুয়াই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল খালেক বলেন, ‘কচুয়াই ইউনিয়নের সন্তান সাজু ঐতিহাসিক এই রেলযাত্রার চালক হয়ে আমাদেরকে গর্বিত করেছেন।আমরা পটিয়াকে এ গৌরবের আসনে অভিষিক্ত করায় তাকে ধন্যবাদ জানাই।’ কচুয়াই ইউপির চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাজু আজ ঐতিহাসিক ট্রেনযাত্রার চালক হয়ে ইতিহাসের অংশ করায় আমরা আনন্দিত।’

 

 

পটিয়ার এমপি হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাস- ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সভ্যতায় পটিয়ার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন পটিয়ার গর্বিত সন্তান প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ, আর আজ ঐতিহাসিক ট্রেনযাত্রা উদ্বোধনী ট্রেনের চালক সাজুও পটিয়ার গর্বিত সন্তান। আমি তাদের সাফল্য কামনা করি। আমি আশা করি, তাদের মতো পটিয়ার গৌরব ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’