ই-পেপার | সোমবার , ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশ, দুই পক্ষের চেয়ার-ছোড়াছুড়ি

সিএনএন বাংলা২৪,চট্টগ্রাম

গরের লালদিঘীর পাড়ে জেলা পরিষদের মার্কেটের সামনে ১৪ দলের গণসমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার-ছোড়াছুড়ি হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা পরিষদ চত্বর, ৩১ মে

গরের লালদিঘীর পাড়ে জেলা পরিষদের মার্কেটের সামনে ১৪ দলের গণসমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার-ছোড়াছুড়ি হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা পরিষদ চত্বর, ৩১ মে ,

চট্টগ্রামে প্রায় ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলের সমাবেশের শুরুতে আজ বুধবার দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ও পাথর-ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।

দেশের শান্তি স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে জেলা পরিষদ চত্বরে বিকেল চারটার দিকে এই গণসমাবেশ শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, সমাবেশে আসা ওমরগনি এমইএস কলেজের সাবেক দুই ছাত্রনেতা আরশেদুল আলম ও ওয়াসিম উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পাথর এসে পড়লে ওয়াসিমের মাথা ফেটে যায়। তাঁকে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আরশেদুল আলম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য। আর ওয়াসিম ওয়ার্ড কাউন্সিল।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী দীর্ঘদিন ১৪ দলের সমন্বয়ক ছিলেন। ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর আর সমাবেশ হয়নি। প্রায় ছয় বছর পর এই প্রথম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, জেলা পরিষদের সমাবেশে যোগ দিতে ওয়াসিমের নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে প্রথমে সিনেমা প্যালেস এলাকায় থামে। এরপরই পেছন থেকে আরশেদুল আলম বাচ্চুর নেতৃত্বে অপর একটি মিছিল আসে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি ও পাথর-ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। একপর্যায়ে একটি পাথর ওয়াসিমের মাথায় লাগলে তিনি সামান্য আহত হন।

ওসি আরও বলেন, এ সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলেও জ্যেষ্ঠ নেতারা এবং পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলের চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সুন্দর সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।’

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪