চট্টগ্রাম অফিস:
চট্টগ্রাম: বিশেষ দিনগুলোতে বেড়ে যায় ফুলের চাহিদা। বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে প্লাস্টিক ফুল কিনলেও ভালোবাসা দিবসে সবাই প্রিয়জনকে দিতে চায় তাজা গোলাপ, বসন্ত উৎসবে যোগ দিতে খোপায় বাঁধে গাঁদা ফুল।
এবছর বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস একইদিনে হওয়ায় আশানুরূপ ফুল বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নগরের চেরাগী পাহাড় এলাকায় মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফুলের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সকালে বিক্রি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
তবে বিকেল থেকে ফুল বিক্রি বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার দোকানিরা ফুলের জন্য আগাম চাহিদাপত্র দিয়ে রেখেছেন।
এদিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ফুলের দামও বেড়েছে। গ্লাডিওলাস প্রতিটি ৩০-৩৫ টাকা, বিভিন্ন রঙের গোলাপ ১০০টি ৬০০ টাকা, রজনীগন্ধা প্রতিটি ২৫-৩০ টাকা, জারবেরা ২০-২৫ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ৫০০ টাকা, জিপসি এক আঁটি ৫০-৬০ টাকা, জিপসি এক আঁটি ১০০ টাকা, গাঁদা ফুল প্রতি হাজার ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন জাতের রঙিন ফুল দিয়ে তৈরি একটি ফ্লাওয়ার বাস্কেট ৩০০ টাকা, বিভিন্ন ফুলের মিশ্রণে সেলোফিন দিয়ে মোড়ানো একটি বুকেট ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) উদযাপিত হবে বসন্ত উৎসব ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান থেকে ফুল কেনার আগাম বায়না করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। এ উপলক্ষে দুইদিনে প্রায় ৩৫-৪০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন তারা।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের চাষীদের কাছ থেকে ৪০ শতাংশ ফুলের যোগান আসে। আর ৪০ শতাংশ ফুল আসে ঢাকা ও যশোরের চাষীদের কাছ থেকে। যশোর থেকে আসে উন্নতজাতের রজনীগন্ধা, গাঁদা ও গ্লাডিওলাস। চট্টগ্রামের চকরিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, হাটহাজারীর চাষীরা সরবরাহ করেন গোলাপ, গ্লাডিওলাস ও জারবেরা ফুল। এছাড়া থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া থেকে আসে বাহারি রঙের অর্কিড। মোমিন রোডের ফুলের দোকানগুলোতে পাইকারি ও খুচরা ফুল বিক্রি করা হয়।
একজন বিক্রয় কর্মী জানান, ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসবে রজনীগন্ধার কলির মালা ও মাথার রিং, গোলাপ ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। ইদানীং একগুচ্ছ জারবেরা কিনতেও ফুল প্রেমীদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
তবে এ এলাকায় কিছু কিছু মৌসুমী খুচরা বিক্রেতা বিভিন্ন বিশেষ দিবসকে কেন্দ্র করে বাড়তি দামে ফুল বিক্রি করে বলে অভিযোগ রয়েছে।