নিজস্ব প্রতিবেদক,সিএনএনবাংলা২৪
চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশি শিশু আলিফা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
বুধবার ঢাকার চীন দূতাবাস এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
চীন দূতাবাস জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশি শিশু আলিফা চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চিঠি লিখে তার পড়াশোনা, স্বপ্ন পূরণ এবং চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে।
চিঠির জবাবে জিনপিং লেখেন, প্রাচীন কাল থেকে চীনা ও বাংলাদেশিরা ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং ভালো বন্ধু। যাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ৬০০ বছরেরও বেশি আগে মিং রাজবংশের একজন চীনা নাবিক ঝেং হে বাংলাদেশে এসেছিলেন। যা দুই জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের বীজ বপন করেছিল। ৬০০ বছরেরও বেশি সময় পরে চীনের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ‘দ্য পিস আর্ক’-এর একটি বন্ধুত্ব এবং মানবিক যাত্রার সময় একজন চীনা নারী সামরিক ডাক্তার শিশু আলিফার মাকে বিপজ্জনক সময় তাকে জন্ম দিতে সাহায্য করেছিলেন। আর তার নাম রাখা হয় আলিফা চীন। এটি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী গল্প।
আলিফা বড় হয়ে চীনের একটি মেডিকেল স্কুলে পড়তে চান যাতে তিনি চীনা নারী সামরিক ডাক্তারের মতো অন্যদের জীবন বাঁচাতে পারে। আলিফা তার যৌবনকাল সর্বোত্তম ব্যবহার করবে এবং তার স্বপ্নকে বাস্তব করতে কঠোর অধ্যয়ন করবে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে শিশু আলিফা যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন তার গর্ভবতী মা হৃদরোগের কারণে একটি কঠিন প্রসবের শিকার হন। সেই সময় চীনা জাহাজ ‘দ্যা পিস আর্ক’ চট্টগ্রামে অবস্থান করছিল। স্থানীয় হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী না থাকায় চীনা জাহাজের ডাক্তাররা তার মায়ের সিজার অপারেশন করেন। চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তার বাবা শিশুটির নাম রাখেন আলিফা চীন।
চলতি বছরের শুরুতে আলিফা চীনের প্রেসিডেন্টকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে আলিফা তার নিজের জন্মের গল্পসহ চীনের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে আলিফা চাইনিজ মেডিকেলে পড়ার আশা প্রকাশ করেন, যেন সে অন্যের জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা করতে পারে।
এইচ এম কাদের,সিএনসএন বাংলা২৪