সিএনএন বাংলা ডেস্ক:
৩ দিনের প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হিমাচলের কুল্লু শহরের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় আটকা পড়েছেন হাজার হাজার হাজার পর্যটক।
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের পাশাপাশি ভারতের বিমান বাহিনীও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানিয়েছেন, আটকে পড়া ৬০ হাজার দর্শককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে; তবে বিভিন্ন এলাকায় এখনও ১০ হাজার পর্যটক আটকা পড়ে আছেন।
বৃহস্পতিবার এক টুইটবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সকাল ৯ টা পর্যন্ত বন্যা উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া ৬০ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। আমি নিজে গত ৩ দিন ধরে কুল্লুতে অবস্থান করছি এবং উদ্ধার তৎপরতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
পরবর্তী এক টুইটে সুখবিন্দর সিং সুখু বলেন, যে দশ হাজার পর্যটক এখনও আটকা পড়ে আছেন, তাদের অধিকাংশই কাসল এবং তীর্থন শহরের।
‘বন্যা, ভূমি ও পাহাড়ধসের কারণে কুল্লুর কাসল ও তীর্থন উপত্যকায় এখনও ১০ হাজার পর্যটক আটকা পড়ে আছেন। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে।’
বৃষ্টির তেজ কমে এলেও এখনও অব্যাহত থাকায় উদ্ধারকাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতের কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন দিনের প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা-ভূমিধসের কারণে ইতোমধ্যে অন্তত ১ হাজার সড়ক ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে হিমাচল রাজ্যে। এছাড়া ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা।
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু অবশ্য জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের ইন্টারনেট সংযোগ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে অনেক স্থানে তা স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।
উদ্ধারকৃত পর্যটকদের মধ্যে কয়েকজন পর্যটককে পাওয়া গেছে অসুস্থ ও আহত অবস্থায়। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পার্বত্য এই রাজ্যের যেসব এলাকা দুর্গম ও সমতল থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন, সেসব স্থানে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সিএইচ-৪৭ চিনুক হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হচ্ছে।
উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেওয়র জন্য বিমান বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী।
নুর মোহাম্মদ, সিএনএনবাংলা২৪