
নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক ক্রীড়াঙ্গনে অংশগ্রহণ করছে। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের অনেক ক্রীড়াবিদই বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে এসেছেন। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে প্রথম বড় ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের আগমন হিসেবে বিশ্বখ্যাত বক্সার মোহাম্মদ আলীর আগমনই ধরা হয়। ১৯৭৮ সালে এক সংক্ষিপ্ত সফরে তিনি এসেছিলেন।
মোহাম্মদ আলী আসার বছর তিন-চারেক পর ফিফা সভাপতি হোয়াও হ্যাভেল্যাঞ্জ বাংলাদেশ সফর করেন। বাংলাদেশের ফুটবলের সর্বনিম্ন স্তর পাইওনিয়ার ফুটবল লিগের উদ্বোধন করেছিলেন হ্যাভেল্যাঞ্জ। এরপর ফিফা সভাপতি হওয়া সেপ ব্ল্যাটার বাংলাদেশে দুই বার সফর করেন। আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের সভাপতি লিয়েনান্দ্রোও বাংলাদেশে দুই দফা সফর করেছিলেন।
২০০৬ সালে ঢাকায় এসেছিলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জেতানো ফুটবলার জিনেদিন জিদান। বিশ্বকাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তিনি গ্রামীণ ডানোনের আমন্ত্রণে আসলেও বাফুফের এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। নভেম্বরের ৭ ও ৮ তারিখে বাংলাদেশ সফর করেন তিনি। সেই সফরে তার সম্মানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়।
জিদান আসার বছর পাচেক পর ঢাকায় এসে প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন মেসিরা। তবে সেই দলে আর্জেন্টিনার কারো বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা ছিল না। এক যুগ পর বাংলাদেশে আসলেন কোনো আর্জেন্টাইন ফুটবলার। তিন যুগের আক্ষেপ ঘুচিয়ে কাতারে আর্জেন্টিনার সোনালি ট্রফি জয়ের নেপথ্য নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিগত কিংবদন্তি বা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের সফরে ভক্ত-সমর্থকদের অনুষ্ঠান ছিল না হয় অন্তত গণমাধ্যমের উপস্থিতি ছিল। মার্টিনেজের সফর একেবারে ব্যতিক্রম। গণমাধ্যমকর্মীরা মার্টিনেজের ভালো করে একটি ছবিও তোলার সুযোগ পায়নি।
ব্রাজিলের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ খেলা সাবেক গোলরক্ষক হুলিও সিজারও ঘুরে গেছেন বাংলাদেশ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আন্তর্জাতিক ফুটবলে খ্যাতিমান ফুটবলারদের নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছিল। তারই অংশ হিসেবে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন এই কিংবদন্তি। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু। বিশ্বকাপের অন্যতম অফিশিয়াল পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিল বিশ্বকাপের ট্রফিটি। সেই ট্রফির সঙ্গেই আসেন ফ্রান্সের জার্সিতে ৫৩ ম্যাচ খেলা এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে বৈশ্বিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। ফলে ক্রিকেটের অনেক কিংবদন্তি ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশে এসেছেন অনেকবারই। ক্রিকেটের পরিমন্ডল ফুটবল, হকিসহ কয়েকটি খেলার তুলনায় বেশ ছোট। তাই অন্য খেলার বৈশ্বিক তারকা বা ব্যক্তেত্বের আগমনে আলোড়ন পড়ে গোটা বাংলাদেশে।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: