ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকায় কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকায় এসেছে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি। ইতোমধ্যে রাজধানীতে অবস্থান করছেন অধিকাংশ নেতাকর্মী। বাকিরা সমাবেশের আগেই বাস-ট্রেনযোগে সমাবেশে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মো. ইসরাইল মিঞা। তার দাবি, কিশোরগঞ্জ থেকে এ মহাসমাবেশে যোগ দেবেন অন্তত ৫০ হাজার নেতাকর্মী।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা পোস্টকে তিনি এ তথ্য জানান।

ইসরাইল মিঞা বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ ১৩টি উপজেলার সমন্বয়ে একটি জেলা। সবগুলো উপজেলা থেকে শুধুমাত্র বিএনপির ব্যানারে মহাসমাবেশে কমপক্ষে ৫০ হাজার নেতাকর্মী আসবে। এর বাইরেও কিশোরগঞ্জের অসংখ্য লোক ঢাকা শহরে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন। তাদের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করেছি। তারাও সমাবেশে এসে যোগ দেবেন।’

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আজ আমরা ঢাকায় এসেছি। ঢাকায় আসার পথে বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি থামিয়ে আমাদের হয়রানি করেছে পুলিশ প্রশাসন। আমাদের বহু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ঢাকায় এসে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। জেল-জুলুম আর গ্রেপ্তার করে গণজোয়ার থামানো যায় না, ইতিহাস তাই বলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসন বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করছে। রাজধানীর বাসাবাড়ি, হোটেল-মোটেল থেকে অসংখ্য নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। এমনকি জেলা-উপজেলা পর্যায়েও সরকার প্রশাসনকে লেলিয়ে দিয়ে গণ-গ্রেপ্তার করাচ্ছে। তারপরও কি এই জনস্রোত থামাতে পেরেছে?’

জেলা বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি গত ৩৫ বছর যাবৎ। রাজনৈতিক জীবনে আমি যা দেখিনি, বর্তমান প্রজন্ম দেশের ইতিহাসে যা দেখেনি, আগামীকালের মহাসমাবেশে তা আমরা দেখতে পারব। আমরা আশা করছি বাংলাদেশে জনসমাবেশের নতুন একটি ইতিহাস আগামীকাল সৃষ্টি হবে।’

ইসরাইল মিঞা বলেন, ‘আগামীকাল সমাবেশ, তারপরও একদিন আগেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লাখো মানুষের জনসমাগম হয়েছে। এদিকে আগামীকাল তো আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ আছে, ওখানে গিয়ে দেখেন সবমিলিয়ে ১/২শো মানুষ হয় কি না। যে মানুষগুলোই তাদের ওখানে আসে, টাকার বিনিময়ে আসে। এক হাজার টাকা আর বিরিয়ানির জন্য একজন লোক আসে। দেখা যাবে যে, ওখান থেকে টাকা আর বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে চলে আসছে আমাদের মিছিলে।’

প্রসঙ্গত, বিএনপির মহাসমাবেশের আগের দিনেই নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন। নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে, তাই সাধারণ জনগণও রাস্তায় নেমে এসেছে। একদিন আগেই দেখছেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের কী অবস্থা, তার মানে কাল ঢাকা শহর যে নেতাকর্মীরা দখল করে নেবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকেল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী। তাদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এসব নেতাকর্মীদের অনেকে পায়ে হাঁটার পাশাপাশি রিকশা ভাড়া করে মিছিল করছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

 

এদিকে, বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পুরো এলাকায় প্রায় ৬০টির মতো সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪