সালেহ আহমদ (স’লিপক), সিলেট:
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়া ওরফে আলাল মোল্লা হিন্দু ভূমিহীনদের লিজকৃত সম্পত্তি জবর দখল, সরকারী জমির উপর বিল্ডিং নির্মাণ, ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে অন্যের জমি দখল, প্রতিবাদকারীকে সাজানো মামলা দিয়ে জেল কাটানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভোক্তভুগী।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন ,রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ধুলিজুরি গ্রামের ভোক্তভুগী মৃত শায়েস্তা মিয়ার পুত্র গেদন মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়া ওরফে আলাল মোল্লা একজন ভূমিখেকো প্রকৃতির লোক। ভাইস চেয়ারমান আলাল মিয়া পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ধুলিজুরা মৌজার ৪৪নং জেএল এর মূল্যবান জমি (সরকারী নালা) ভরাট করে বসত বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজনগর বরাবরে ২১ ফেব্রুয়ারী অভিযোগ করেন গেদন মিয়া এবং রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এর অনুলিপি দাখিল করেন।
এরপরও আলাল মিয়া ধুলিজুড়া বাজারের আরএস ২২২৪নং দাগের পানি যাওয়ার ৬ শতক মূল্যবান জমি অবৈধভাবে ভরাট করে বিল্ডিং নির্মাণ করেন। ফলে সাধারণ জনগণের চলাচল ও গ্রামের পানি যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজনগর বরাবরে গেদন মিয়া ১২ নভেম্বর ২০ইং অভিযোগ করেন। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়া ওরফে আলাল মোল্লার লোভী দৃষ্টি থেকে রেহাই পায়নি নিরীহ হিন্দু সম্পদায়ের গরীব মানুষ।
উপজেলার ধুলিজুরা গ্রামের ভূমিহীন ভানু ভূষন দাশ জেলা প্রশসকের নিকট থেকে ৪৫ শতক জমি এবং একই গ্রামের ভূমিহীন সুধীর চন্দ্র দাস জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে ৪৬ শতক ভূমি ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত নেন। ওই জমিটুকু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়া ওরফে আলাল মোল্লা জোরপূর্বক ফিসারী করে তা আবার ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন।
ওই সমস্ত বিষয় প্রতিবাদ করায় একটি সাজানো মামলা দিয়ে গেদন মিয়াকে ২০২০ সালে জেলে পাঠিয়ে ধুলিজুরা মৌজার আরএস ৫৫নং খতিয়ানের আরএস. ৪১৩নং দাগের ০৭৭৫ একর জমি তার ১৮০৮ হেবা দলিল থাকার পরও ভাইস চেয়ারম্যান আলাল মিয়া ওরফে আলাল মোল্লা তার নামে নামজারী করে নেন।
এব্যাপারে গেদন মিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট নামজারী বাতিলের আবেদন করেছেন। উল্লেখিত কারণে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭ অক্টোবর গেদন মিয়ার আকলের বাজার মোল্লা মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তার ভাড়াটি সন্ত্রাসী দিয়ে আক্রমন করে দোকান ভাংচুর করেন। এছাড়াও তার বাড়ির ঘরটি দখল করিয়ে নেন।
এব্যাপারে তার স্ত্রী বাদী হয়ে রাজনগর থানায় অভিযোগ করেছেন। গত ৭ বছর পূর্রে আলাল মিয়ার নির্দেশে তার ভাই ও কিছু সন্ত্রাসী কেওলা গ্রামের কুকিল মিয়ার ছেলের হাত বিচ্ছিন্ন করে ধান ক্ষেতের মাঠে ফেলে রাখে। গেদন মিয়া বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতার কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন।