মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম, নোয়াখালী :
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে যৌতুকের টাকার জন্য গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো: শহিদুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি জানান, সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের অভিযানে অভিযুক্ত আবু ইউসুফকে সাতক্ষীরা মডেল থানা এলাকার সীমান্ত আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।
পুলিশ সুপার জানান, চলতি মাসের ১ তারিখ সকাল ৯টার সময় সুমির নিকট থেকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে স্বামী ভিকটিমের নাকে মুখে থাপ্পড় মারে। এতে মুখ দিয়ে প্রচন্ড রক্তপাত শুরু হয়। পরে গলায় থাকা ওড়না পেছন দিয়ে শক্তভাবে ধরে সুমিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঢাকায় চলে যায়। এর একদিন পর পুনরায় আবু ইউসুফ ঘটনাস্থলে আসে এবং ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে ভিকটিমের লাশ গোপন করার জন্য বাথরুমের ভেতরে নিয়ে রাখে। বাহিরের দরজায় তালা দিয়ে সে আত্মগোপন করে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ৫ মাস আগে সুমি প্রেম করে বিয়ে করে কুমিল্লার মুরাদনগরের আবু ইউছুফ নামে এক ব্যক্তিকে। গত সোমবার রাত থেকে সুমির ফোন বন্ধ ছিল। যোগাযোগ না থাকায় বড় ভাই আরাফাত বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাইমুড়ীতে সুমির ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখেন দরজায় তালা ঝুলানো। ঘরের ভেতর থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তারপর বাড়ির মালিকের সহায়তায় সোনাইমুড়ী থানায় খবর দিলে পুলিশ বসতঘরের শৌচাগার থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
এতে জানানো হয়, আবু ইউসুফ পেশায় একজন চোর। বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিদের মোবাইল ফোন চুরি করা তার নেশা ও পেশা ছিলো। একাধিক বিয়ে ও একাধিক মহিলার সাথে রয়েছে তার প্রেমের সম্পর্ক। তাকে আটক করার পর ৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।