ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাশাপাশি কবরে শায়িত স্বামী-স্ত্রী-সন্তান

জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও :

 

চাকরি ছেড়ে পরিবার নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে চেয়েছিলেন ৩০ বছর ধরে পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করা মুক্তার হোসেন (৫০)। অবশেষে পরিবার নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন, তবে সবাই লাশ হয়ে।

 

মুক্তার হোসেনের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের গরুড়া ফুলবাড়ি গ্রামে। গ্রামের মৃত সইর উদ্দিনের চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মুক্তার হোসেন সবার ছোট। গত শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে মুক্তার হোসেন, তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০) ও ছেলে মেহেদী হাসান জয়ের (১২) গলাকাটা উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে আজ সোমবার ভোরে তাদের মরদেহ ফুলবাড়ি এসে পৌঁছায়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় কবরস্থানে পাশাপাশি তাদের দাফন করা হয়।

 

এর আগে মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাদের স্বজনরা। শেষবারের মতো তাদের দেখতে আশপাশের মানুষ ভিড় জমান সেখানে।

ফুলবাড়ি গ্রামের গৃহিণী জরিনা বেগম সিএনএন বাংলা২৪কে বলেন, গত ঈদেও তারা ঈদ করতে বাড়িতে এসেছিল। ভাবতে পারছি না তারা এখন আর বেচেঁ নেই। এই গ্রামে তারা আর কখনো ঈদ করতে আসবে না। তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি।

 

একই গ্রামের নুর মোহাম্মদ সিএনএন বাংলা২৪কে বলেন, অনেক মানুষের জানাজায় গিয়েছি। কিন্তু একইসঙ্গে একই পরিবারের তিনটি মরদেহ কখনো দেখিনি। এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আমরা তাদের বিচার চাই।

 

মুক্তার হোসেনের ভাই ও সাবেক ইউপি সদস্য আইনুল হক সিএনএন বাংলা২৪কে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। যারা আজকে আমাদের বুক খালি করেছে, আর কারও ভাই যেন এভাবে মৃত্যুবরণ না করে এজন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪