ই-পেপার | বুধবার , ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গর্জনিয়ার দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি :

 

রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বেলতলীতে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে ১ জন। এছাড়া ২ জনকে হন্য হয়ে খুঁজছে অস্ত্রধারীরা।

 

ঘটনায় গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম সাহাবুদ্দিন শাকিল ( ২৭)। সে স্থানীয় নবী সুলতানের ছেলে। গুলিবিদ্ধ শাকিলকে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে পরে কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।
অপরদিকে অস্ত্রধারীরা যাদেরকে খুঁজছে তারা হলো-আনোয়ার হোসেন ও সোহেল। তাদের একজনের বাড়ি বেলতলী। দ্বিতীয়জন হলো কচ্ছপিয়ার তাহের মেস্বারের ছেলে। সোহেলের বাড়ি কচ্ছপিয়া গ্রামে । ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে।

 

আহত শাকিল এ প্রতিবেদককে জানায়, সে প্রতিদিনকার ন্যায় বেলতলী স্টেশনের পূর্বপাশে অবস্থান করছিলো। তখন বিকেল সাড়ে ৩ টা। ঠিক সে সময় পশ্চিম দিক থেকে শাহিন গ্রুপের প্রধান শাহিনের নেতৃত্বে ৮-৯ টি মটর বাইকসহ ১৬-১৭ জন যুবক সশস্ত্র অবস্থায় এসে তার উপর গুলি চালাতে থাকে। পরপর ৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করলেও তার হাতে ও পায়ে লাগে ২ টি গুলি । এ ছাড়া তাকে প্রচন্ড মারধরও করে তারা। পরে মৃত ভেবে অস্ত্রধারীরা তাকে ফেলে চলে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

অপর দিকে আনোয়ারের স্বজনদের দাবী, শাকিলের উপর হামলার পর তারা আনোয়ার হোসেনকে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময়ও নেত্বত্ব দেন শাহিন। অবস্থা বেগতিক দেখে পাড়ার মেয়েরা এসে তাদের গতিরোধ করে আনোয়ারকে ছিনিয়ে নেয় সে সব মেয়েরা । বাঁকখালী নদী পার হয়ে সোহেলের খোঁজে কচ্ছপিয়া গ্রামে চলে যায়। এ সব ঘটনা দেখে স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।ৎ

এ বিষয়ে রামু থানাধীন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শাহিন বাহিনীর লোকজনকে খোঁজে বের করার চেষ্ট করা হচ্ছে।
মূলত এ ঘটনার সূত্রপাত হয় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ থেকে।

 

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪