ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঈদগাঁও কলেজে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় অধ্যক্ষের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদগাঁও রশিদ আহমদ কলেজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের হাতে সাইফুল ইসলাম নামক শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। প্রকাশ্যে অন্যান্য শিক্ষকদের সামনে তাকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করেছেন। খোদ কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির সামনে এমন ঘটনা ঘটলেও তিনি কোন প্রতিবাদ করেন নি। অধ্যক্ষ অশ্রাব্য ও মারমুখি আচরণ করায় সাধারণ শিক্ষকরাও ভয়ে তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়নি।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে অধ্যক্ষের কক্ষেই এই ঘটনা ঘটে।

এসময় কলেজ জাতীয়করণসহ অগ্রগতি বিষয়ক বৈঠক চলছিল।

 

সাইফুল ইসলাম ওই কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং মেহেরঘোনা এলাকার বশির আহমেদের ছেলে। তিনি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 

সাইফুল ইসলাম বলেন, কলেজের জাতীয়করণের অগ্রগতির পর্যালোচনা বিষয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন।

 

ওই বৈঠকে সভাপতি আবু তালেব, সদস্য আব্দুর রাজ্জাক মেম্বার, মোঃ আলম, মাস্টার আব্দুস সালাম, ঈদগাঁও কেজির প্রধান শিক্ষক শহিদুল হক, মনজুর আলমসহ সাধারণ শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে একজন শিক্ষক জানিয়েছেন, বৈঠক চলাকালী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম কলেজের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

সরকারের নীতিমালা ও নির্দেশনা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কলেজ কেন জাতীয়করণ হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলেন। বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত সবার সামনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন তার চেয়ার থেকে তেড়ে গিয়ে সাইফুল ইসলামের মাথায় স্বজোরে কিলঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। দৃশ্য দেখে সাধারণ শিক্ষকরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে থাকেন। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। তাৎক্ষণিক বৈঠক শেষ হয়ে গেলে একজন শিক্ষকের সহযোগিতা তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। এ ঘটনায় কলেজের সাধারণ শিক্ষক এবং ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে উপযুক্ত শাস্তি চেয়েছেন তারা।

 

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসীম উদ্দীনের মুঠোফোনে বারবার কল পড়লেও রিসিভ করেন নি। মেসেজের জবাবও দেননি।

 

সাইফুল ইসলামকে কোন ধরণের মারধর কিংবা লাঞ্ছিত করা হয়নি দাবি করেছেন গভর্নিং বডির সভাপতি আবু তালেব। তবে, বৈঠকে কিছু এলোমেলো কথা বলায় অধ্যক্ষ রাগের মুখে মৃদুচড় মারেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪