নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতের সামনে থেকে তিন আসামিকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে অপহৃত তিন যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম।
অপহৃত তিন যুবক হলেন, জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (৩০), একই গ্রামের নেসার উদ্দিনের ছেলে হিমেল মিয়া (১৯) ও আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের নোয়ামোড়া গ্রামের ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে মুন্না মিয়া (৩৫)।
এ সময় পুলিশ লাল মিয়া (২৯) নামের এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও অন্য অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত লাল মিয়া কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত লাল মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়।
ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, কসবা উপজেলার লাল মিয়ার সঙ্গে সোহাগ মিয়া, হিমেল মিয়া ও মুন্না মিয়ার বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে লাল মিয়ার সঙ্গে কয়েকদিন আগে তাদের ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় লাল মিয়া তাদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় সোহাগ মিয়া, হিমেল মিয়া ও মুন্না মিয়া আত্মসমর্পণ করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে আসেন। আদালত তারা হাজির হলে তাদের জামিন দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, জামিন পেয়ে আসামিরা আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় সামনের রাস্তা থেকে মামলার বাদী লাল মিয়া ও তার ভগ্নিপতি ও খালাতো ভাই সাহস মিয়াসহ ৬-৭ জন যুবক দেশীয় অস্ত্রের মুখে আসামিদের মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। পরে তাদের প্রথমে শহরের ওয়াপদার ভেতরে, এরপর ভাদুঘর রেললাইনের পাশে বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে মারধর কর। পরে লাল মিয়া ও সাহস মিয়া তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তাদের ট্রেনের নিচে ফেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এমরানুল ইসলাম বলেন, এ সময় তিন যুবক স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা লাল মিয়ার বিকাশ নম্বরে এনে দেয়। পরে সুযোগ বুঝে অপহৃত যুবকদের একজন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহায়তা চাইলে বিকেল সাড়ে ৪টার সময় পুলিশ ভাদুঘর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে তিন যুবককে উদ্ধার ও অপরহনকারী লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে লাল মিয়ার কাছ থেকে বিকাশের মাধমে নেওয়া ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমরা তিন যুবককে উদ্ধার করি ও অপহরণকারী লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমরা বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃত লাল মিয়াকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এইচ এম কাদের সিএন এন বাংলা ২৪