ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঘর পাচ্ছে আরও ২২ হাজার পরিবার

মো: আবদুর রহিম জয় চৌধুরী

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন-গৃহহীনদের মাঝে চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে ২২ হাজার ১০১টি ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে বুধবার ৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা, ফেণী নোয়াখালী ও পাবনা জেলায় ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন৷

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এসব তথ্য জানান।

একই সঙ্গে দেশের ১২৩টি উপজেলাকে সম্পূর্ণ ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ১২টি জেলার সব উপজেলা এই কৃতিত্বের অধিকারী হচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীনদের হস্তান্তর করা হয়েছে৷

তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিকে গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন। এর আগে তিনি পঞ্চগড় ও মাগুরাসহ নয়টি জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত জেলা ঘোষণা করেন।

 

নদীভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে এসব এলাকায় কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন হলে তাদের জমিসহ বাড়ি দেওয়া হবে, জানিয়ে তিনি বলেন, জমির মালিকানা স্বামী-স্ত্রী উভয়কে দেওয়া হয় এবং জমির রেজিস্ট্রেশন ও মিউটেশনও স্বামী-স্ত্রীর নামে দেওয়া হয়।

 

এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ৮ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা৷ বুধবার সকালে এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও ২২ হাজার ১০১টি ঘর হস্তান্তর করবেন৷ নতুন মাথা গোঁজার ঠাই হবে অসহায় আরও কিছু মানুষের৷

 

আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীনদের মাঝে ২ কক্ষের আধাপাকা ঘর জমিসহ নিবন্ধন করে দেয়া হচ্ছে৷ চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশের আরো ১২টি জেলার সব উপজেলাসহ ১৩২টি উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে৷

 

সরকারের খাস জমিতে এই ঘরগুলো নির্মাণ করা হলেও অতিরিক্ত ৩২৩ একর জমি কিনে সেখানেও ঘর নির্মাণ করা হয়েছে৷ এদিকে দারিদ্রসীমার নিচে অবস্থান করা এই জনগোষ্ঠী এই ঘর পাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে পারবে বলে আশা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪