আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া:
সরকারের নবনিযুক্ত তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করেছে।
২০০৯ সালে এ জন্য তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের কারণে যেকোনো তথ্য এখন জনগণ সহজেই পাচ্ছে। এটি একটি অনন্য আইন। অন্য সকল আইন কর্তৃপক্ষ জনগণের উপর প্রয়োগ করে জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। আর তথ্য অধিকার এমনই একটি আইন যা জনগণ কর্তৃপক্ষের উপর প্রয়োগ করে। এই আইন জনগণকে ক্ষমতায়িত করেছে। তথ্য অধিকার আইন জনগণের তথ্য জানার অধিকারকে আইনগত স্বীকৃতি দিয়ে জনগণকে মর্যাদাবান করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকেই জনগণ কোনো না কোনোভাবে তথ্যের আদান-প্রদান করে আসছে। তথ্য অধিকার আইন তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করে। রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল স্তরে স্বচ্ছতা, অনিয়ম দূর, জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং দুর্নীতি হ্রাসের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার আইন কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।’
তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রাম জেলায় উন্নীত না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের সফল নিশ্চিত করার জন্য এ জেলা আরো আগে হওয়া উচিত ছিল।’
তিনি উন্নয়ন ও আইন শৃঙ্খলাসহ সবক্ষেত্র সমন্বয় ও জনগনের দোরগোড়ায় প্রশাসনিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি গতকাল পটিয়া প্রেসক্লাবে এক অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
পটিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি এস এম এ কে জাহাংগীর, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সহসভাপতি এটিএম তোহা, গবেষণা সংস্থা মানুষের ঠিকানার নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, ছাবের মাষ্টার, ডাঃ ফারুকী
ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোরশদুল আলম পেয়ারু, জেলা নায়েব নাজির তৌফিকুল আলম মুজিব, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, কামরুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে নবনিযুক্ত তথ্য কমিশনারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রেসক্লাবের নেতারা।