ই-পেপার | শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টেকনাফের গহীন পাহাড় থেকে অপহৃত তিন বন পাহারাদারকে উদ্ধার

শাহ্‌ মুহাম্মদ রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার:

কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বনবিভাগের অপহৃত ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়া পাহাড়ের পাদদেশ থেকে তাদের উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বনবিভাগ। উদ্ধার তিনজন হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ শাকের, বকসু মিয়ার ছেলে আবদুর রহমান ও আবদুস শুক্কুরের ছেলে আবদুর রহিম। তারা তিনজনই সুস্থ আছেন বলে জানায় পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন বিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মন্জু।

 

এসআই মন্জু জানান, ৮ ঘন্টার টানা অভিযানে গহীন পাহাড় থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। অপহ্নত হওয়ার পর থেকে টেকনাফ থানার ওসি মো: জোবাইর সৈয়দের নির্দেশে গোয়েন্দা নজরদারি ও সরাসরি পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গতিবিধি চিহ্নিত করা হয়। সবশেষে স্থানীয় বনবিভাগ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় মুক্তিপণ ছাড়াই অপহৃতদের উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

 

অপরদিকে, বন বিভাগের ৩২ জন সদস্যও গহীন পাহাড়ে অভিযান অংশ নেয়। ডাকাতদলের ১৬ জনের মতো সদস্য ছিলো। পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যদের দেখে অপহৃত ৩ জনকে রেখে তারা পালিয়ে যায়। তারা তিনজনেই সুস্থ আছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) পাহাড়ের সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের সদস্যরা তাদের অপহরণ করে।

 

টেকনাফের হ্নীলা ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, তিন ব্যক্তিকে নেচার পার্ক থেকে অপহরণ করা হয়েছে। তারা বেসরকারি সংস্থা নিসর্গের অধীনে বন পাহারাদার ছিলেন। পুলিশসহ স্থানীয় জনতা তাদের উদ্ধারের জন্য টানা তিনি দিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আসছে। সোমবার দুপুরে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

 

টেকনাফ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) জোবাইর সৈয়দ জানিয়েছেন, ৩ বন প্রহরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

গত সাড়ে ৮ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮৬ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৪২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকি ৪৪ জন রোহিঙ্গা। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৩৯ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে। অপহরণ, খুন ও ডাকাতি অব্যাহত রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও টেকনাফে। অতিরিক্ত প্রশাসনের তৎপরতা বাড়াতে স্থানীয়রা দাবী জানিয়ে আসছেন অনেকদিন ধরে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪