ই-পেপার | শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুজিববর্ষের চতুর্থ ধাপে স্বপ্নের ঠিকানা পাচ্ছে পেকুয়ার ৩০ পরিবার

পেকুয়া উপজেলা প্রতিনিধি

মুজিব বর্ষের চতুর্থ ধাপে কক্সবাজারের পেকুয়ায় আরো ৩০ পরিবার পাচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই স্বপ্নের ঠিকানা। চতুর্থ ধাপের বরাদ্ধকৃত এ সব বাড়ি তৈরীর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে মুজিব বর্ষের তৈরীকৃত বাড়ি উপকারভোগীর মাঝে হস্তান্তরের অপেক্ষায় উপজেলা প্রশাসন।

জানা যায়, সরকারের মেঘা প্রকল্প বনৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটি স্থাপনকাজ চলমান রয়েছে। দেশের সামরিক শক্তির জন্য নতুন উদ্ভাবন শেখ হাসিনা নৌঘাঁটি। মগনামা ইউনিয়নের পশ্চিম অংশে কুতুবদিয়া চ্যানেল সংশ্লিষ্ট সাগর উপকুলে বেড়িবাঁধে বিপুল মানুষের বসবাস ছিল। ঐ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বেড়িবাঁধ কূলবর্তী বসবাসরতদের কে উচ্ছেদ করা হয়। মুজিব বর্ষের চতুর্থ ধাপে এ সব বাড়ি প্রাপ্তিতে উপকারভোগী হিসেবে যাদের তালিকাভূক্তি করা হয় এরা সবাই ওই উচ্ছেদকৃত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে এ ঘর উদ্ভোবন করে উপকার ভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করেছেন চলতি মাসে। পেকুয়ায় বন্যা কবলিত হওয়ায় বিতরণ করার সুযোগ হয়নি।

এদিকে এসব ঘর তৈরি করতে নানা জটিলতা পেরিয়ে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা।

সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে যায়, মগনামা ইউনিয়নের মটকাভাঙ্গা কুমপাড়া মুজিব বর্ষের ১৫ টি বাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ইউনিয়নের বাজারপাড়ার উত্তরে ১০ টি বাড়ির কাজ শেষ হয়েছে। বারবাকিয়া ইউনিয়নের বুধামাঝিরঘোনায়ও ৫ টি বাড়ি তৈরীর কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। মগনামার সোনালী বাজারে ১ টিসহ বারবাকিয়া ইউনিয়নের রাখাইনপাড়ায় ৫ টি ঘর নির্মাণের বাস্তবায়ন কাজ সমাপ্তির পথে। এসব ঘরে রয়েছে বেডরুম ২ টি, কিচেন ১ টি, বারান্দাসহ এ সব প্রস্তুতকৃত বাড়ি উপকারভোগীদের মাঝে বুঝে দেওয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছে। পানির ধাক্কা ঠেকাতে চরের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে দেওয়া হয়েছে আরসিসি গাইড ওয়াল। কুমপাড়া অংশে গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে ২ টি। তবে এখনো এসব ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। সড়কের পাশে এ সব বাড়িগুলি দেখতে অসাধারণ দৃষ্টিনন্দন।

 

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পরপরই উপকারভোগীদের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হবে তাদের স্বপ্নের ঠিকানা মুজিব বর্ষের ঘর।

 

 

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪