ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাপাকে সবচেয়ে বেশি দুর্বল করেছে আ.লীগ

সিএনএন বাংলা ডেস্ক:

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে সব চেয়ে বেশি দুর্বল করেছে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাতে সমর্থন দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। তারপর থেকে আওয়ামী লীগ সব সময় জাতীয় পার্টিতে বিভক্তি সৃষ্টি করে রেখেছে। ২০১৪ সালের পর থেকে জাতীয় পার্টির মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। জাতীয় পার্টির স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত করেছে আওয়ামী লীগ। এ কারণে জাতীয় পার্টি অনেকটা দুর্বল হয়েছে। আমরা এই অবস্থা থেকে বের হতে চাই।

 

রবিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে পার্টিতে যোগ দেন।

জিএম কাদের বলেন, সংবিধান ও তত্বাবধায়ক সরকার বুঝিনা, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিতে চাই। যাতে নির্বাচনে সরকার কোনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। বর্তমান সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা তছনছ করে দিয়েছে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধ্বংস করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা কায়েম করতে চাচ্ছে। গণতান্ত্রিক ধারা ধ্বংস করে কর্তৃত্ববাদী এক নায়কতন্ত্র চালু করেছে। আগামী নির্বাচনেও যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আর রাজনীতি বা রাজনৈতিক দল থাকবে না। দেশ এক নেতার অধিনে চলে যাবে। এদলীয় শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করা হবে। দেশের মানুষ তাদের অধিকার হারিয়ে ফেলেছে, এভাবে চলতে থাকলে দেশের মানুষের অধিকার বলতে কিছুই থাকবে না।

আন্দোলনে রাস্তায় নামলে বিরোধীদের নির্যাতন করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিরোধীদের দমন করতে সব কিছুই করছে সরকার। বিরোধীদের ওপর পাখির মত গুলি করা হয়। বর্তমান সরকারের দমন নীতিতে স্বাভাবিক রাজনৈতিক শক্তির টিকে থাকা সম্ভব নয়।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা নির্বাচনের ফর্মুলা দিতে পারি, সব দল থেকে ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নির্বাচন ব্যবস্থা অবশ্যই সরকারের প্রভাবমুক্ত করতে হবে। বর্তমান সরকারের অধীনে ইলেকশন নয় সিলেকশন হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, পেশাদার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোতে এখন আর নির্বাচন হয় না, সিলেকশন করে দেয়া হচ্ছে। এভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করছে সরকার। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সরকার বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সরকার বলছে, তাদের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। কিন্তু সরকার ছাড়া সব রাজনৈতিক শক্তি ও সাধারণ মানুষ বলছে, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে বিশ্ববাসী দেখেছে দলীয় সরকারের অধীনে কেমন নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে জনগণের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। সরকার বলছে, ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে, সাধারণ মানুষের ধারণা শতকারা পাঁচ ভাগ ভোটও সাধারণ মানুষ দেয়নি। জনগণ ভোটের ওপর আস্থা হারিয়েছে বলেই ভোটে অংশ নেয়নি। নির্লজ্জভাবে এক প্রার্থীকে মেরে, এজেন্টদের বের করে দিয়ে নির্বাচনকে কলুষিত করেছে। সারাবিশে^র কাছে প্রমাণ হয়েছে বর্তমান সরকারের অধীনে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কেমন হবে।

অনুষ্ঠানে পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুস সালাম চাকলাদার, টাঙ্গাইল জেলা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

নুর মোহাম্মদ, সিএনএন বাংলা২৪