ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দাবিতে উত্তাল কক্সবাজার

কক্সবাজার অফিস:

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দাবিতে উত্তাল কক্সবাজার। হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতা এবার মাঠে নেমেছে তাদের ঘাড়ের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ভিনদেশী নাগরিক রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার পৌরসভার সামনে এই দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাজারো প্রতিবাদী জনতা অংশ নেন।

 

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘মিয়ানমারের জান্তা সরকারের নিপীড়ন নির্যাতন ও গণহত্যার কবল থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১২ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকার উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় দেয়। কিন্তু এই দেশে রোহিঙ্গাদের পা ফেলার পর থেকে কক্সবাজার জেলাজুড়ে বেড়েছে খুন, গুম, ছিনতাই, নারী নির্যাতন, ডাকাতি, হত্যাসহ নানান অপরাধকর্ম। এছাড়া শ্রমবাজারও রোহিঙ্গাদের দখলে। ফলে এখানকার শ্রমিক ও খেটেখাওয়া মানুষেরা কাজ না পেয়ে বেকার জীবনযাপন করছে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে।

 

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ইশতিয়াক আহমদ জয়ের সভাপতিত্বে এবং কক্সিয়ান এক্সপ্রেস’র সভাপতি ইরফানুল হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, ডেইলি স্টারের সাংবাদিক মোঃ আলী জিন্নাত, কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এইচ.এম নজরুল ইসলাম, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

 

তারা বলেন, রোহিঙ্গা কক্সবাজারবাসীর জন্য এখন বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাদের থেকে মুক্তি পেতে তারা রাস্তায় নেমেছে। অতিবিলম্বে তাদের দ্রত প্রত্যাবাসন শুরু করলে জনগণ নানা দুর্গতি থেকে মুক্তি পাবে বলে মনে করেন।

পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, কক্সবাজারের প্রতিটা অঞ্চলে রোহিঙ্গারা ঢুকে গেছে। প্রতি ওয়ার্ডে অনেক মানুষের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা বসবাস করছে। তাই কক্সবাজারের পরিবেশ এখন অশান্ত হয়ে পড়েছে। পৌর পরিষদে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে শান্তি সমাবেশ করা হবে। যেখানে পুরোনো ও নতুন রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে এনআইডি বাতিল করে কক্সবাজার থেকে বাতিল করা হবে। এছাড়া কোনো রোহিঙ্গাদের যদি কেউ আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় তাহলে তাদের হোল্ডিং টেক্সের আওতায় রাখা হবে না এবং সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুন্না চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাজমুল হক, কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, মিজানুর রহমান, রাজবিহারী দাশ, আমিনুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪