এস.পি সেবু, বিশ্বনাথ (সিলেট:
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের কান্দিগ্রামে মাওলানা আব্দুল হাই জেহাদী ও তার পরিবারের উপর বর্বরোচিত হামলার মামলায় প্রধান আসামি বদরুল ও তার ভাই ৩নং আসামি হাবিব ওরফে হাব্বি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন না মঞ্জুর করে আদালত কর্তৃক তাদের কারাগার প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ওই মামলায় আগে জামিন প্রাপ্ত আসামী কর্তৃক বাদীর ও বাদীর পরিবারকে প্রকাশ্যে প্রাণ নাশের হুমকি ও মামলা উঠিয়ে নেওয়া জন্য বহিরাগতদের দিয়ে চাপ সৃষ্টির অভিযোগে বাকি ৫ জনের জামিন বাতিল চেয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারিত ছিল আজ। আত্মসমর্পণকারীদের বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী এডঃ সামিউল ইসলাম ও বাদি মাওলানা আব্দুল হাই জিহাদি।
ঘটনার সূত্রমতে বিস্তারিত,
সিলেটের প্রবীণ আলেম, লেখক, গবেষক ও ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আব্দুল হাই জেহাদী ও তার স্ত্রীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। শনিবার (২২ জুলাই) মামলাটি দায়ের করেন মাওলানা জেহাদীর ছেলে খাইরুল ইসলাম ফাহিম। মামলা নং-০৬, তারিখ-২১/০৭/২০২৩ইং।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত মাওলানা আব্দুল হাই জেহাদী ও তার বৃদ্ধা স্ত্রী সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর হয়ে নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। মাওলানা জেহাদীর অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হলেও তার স্ত্রীর অবস্থা এখনো সঙ্কটাপন্ন বলে জানা গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকবৃন্দ। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তিনি বর্তমানে নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার ভেঙ্গে যাওয়া হাতটি চিরদিনের জন্য অকেজো হয়ে যেতে পারে। মাওলানা জেহাদী ও তার স্ত্রী হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই মাগরিবের নামাজের পর বিশ্বনাথ উপজেলার কান্দিগ্রামের তাদের প্রতিবেশী বদরুল ও তার তিন ভাই, পাশের ঘরে তার খালাতো ও মামাতো ভাই এবং খালু মিলে হঠাৎ মাওলানা জিহাদির ঘরে এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দরজা জানালায় ভাংচুর চালায়। তখন মাওলানা আব্দুল হাই জেহাদী ঘর থেকে বেরিয়ে কিছু বুঝার আগেই সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে থাকা রড, লোহার পাইপ দিয়ে উপুর্যপুরী আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় মাওলানা জিহাদিকে হামলা থেকে রক্ষা করতে তাঁর স্ত্রী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা লোহার রড, কাঠের বর্গা, লোহার পাইপ ও বাউ দিয়ে তাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে দরজার সামনে ফেলে দেয়। এতে মাওলানা জিহাদির মাথা, চোখ, বাম হাতের আঙ্গুল ও তল পেটে মারাত্মক জখম হয়। তার স্ত্রীর হাত ভেঙে গেছে, মাথার খুলিতে পেছন দিকে লোহার রডের বাড়ীতে মাথা ফেটে প্রচূর রক্তক্ষরণ হয়েছে।