ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বলাৎকারের প্রতিশোধ নিতেই কক্সবাজারে আ’লীগনেতাকে খুন

কক্সবাজার অফিস:

বাধা দেয়ার পরও জোর করে আবারও বলাৎকারের চেষ্টা করায় হত্যা করা হয় কক্সবাজারের সাবেক ছাত্রনেতা ও পৌর আওয়ামী লীগনেতা সাইফউদ্দিনকে।

 

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর ২টায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আলোচিত এই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।

 

পুলিশ সুপার জানান, গত রোববার বিকেলে সাইফউদ্দিন মাদকসেবনের পর হোটেল সানমুনের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষে নিয়ে আশরাফুলকে বলাৎকার করে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এর প্রতিশোধ নিতেই সাইফউদ্দিনকে হত্যা করে আশরাফুল।

 

এ সময় ঘাতক আশরাফুল ইসলামের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন, ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দিয়ে সাইফউদ্দিন মাদ্রাসাছাত্র আশরাফুলকে আবারও হোটেল কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে জোর করে ফের বলাৎকারের চেষ্টা করে তাকে। তখন আশরাফুল তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে সাইফউদ্দিনকে উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এসময় গোঙানির শব্দ শোনা না যাওয়ার জন্য হোটেলের বেডশিট দিয়ে মুখ চেপে ধরে এবং প্যান্টের বেল্ট দিয়ে হাত বেঁধে রাখে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সাইফউদ্দিনের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় হাফেজে কুরআন ও মাদরাসাছাত্র আশরাফুল।

 

এদিকে, সোমবার (২১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে উখিয়া হয়ে টেকনাফ পালানোর সময় হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির চেকপোস্টের সামনে পালকি পরিবহনের একটি বাস থেকে আটক করা হয় আশরাফুল ইসলামকে।

 

এর আগে সোমবার সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজার শহরের হলিডের মোড় এলাকার আবাসিক হোটেল সানমুনের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে সাইফউদ্দিনের দু’হাত বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাইফউদ্দিন সাবেক ছাত্রলীগনেতা ও কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

 

হত্যায় অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামের বাড়ি কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ পাহাড়তলীর ইসলামপুর এলাকায়। তার বাবার নাম হাসেম মাঝি। আশরাফুলকে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪