ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তালতলীতে এতিমের টাকা যায় এতিম ব্যবসায়ীদের পকেটে

তালতলী প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলীতে এতিমদের দোহাই দিয়ে প্রতিবছর রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ নিচ্ছে স্থানীয় এতিম ব্যবসায়ীরা। সমাজসেবা অফিসের নিয়মিত তদারকি না থাকায় এবং তাদের যোগসাজশে সরকারের পকেট খালি করার পাশাপাশি এতিমের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের হড়িণখোলা চরপাড়া এবতেদায়ী এতিমখানায় কাগজে কলমে এতিম দেখালেও বাস্তবে তার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে এতিমখানার রান্নাঘর জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকায় সেখানে গবাদিপশু বিশ্রাম করছে। এমন কি এতিমখানার সাইনবোর্ডের দেখা মিলছিলোনা ওই প্রতিষ্ঠানে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সাইনবোর্ড লাগানোর চেষ্টা করলে এ প্রতিবেদকের গোপন ক্যামেরায় সে দৃশ্য ধরা পড়ে। তবে এবিষয়ে কথা বলতে নারাজ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলরা। হরিণখোলা চরপাড়া ইবতেদায়ী এতিমখানার নিবন্ধন নং ০৭/ ৮৬

 

এবিষয়ে এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আলম বলেন, ৭-৮ মাস ধরে এতিমখানা বন্ধ। কয়েকবছর ধরে বন্ধ রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও ইতিপূর্বে বিল উত্তোলন হয়েছে, কিন্তু এতিমখানার এতিমদের খাওয়ানো হয়নি এমন প্রশ্ন করলে মুঠোফোনে তিনি হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ বলে সায় দেন।

 

তালতলী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার (অঃদাঃ) সহকারী সমাজসেবা অফিসার নূর আলম হাওলাদার বলেন, ওখানে এতিম নেই, আমি অবগত আছি। গতবার আমি বিল দেইনি এবং বিষয়টি আমি দেখব।

 

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, আমিও আকষ্মিক ভিজিটে গিয়েছি। ওখানকার অবস্থা সন্তোষজনক পাইনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি।

 

সহকারী পরিচালক মোঃ ইউনুস আলী বলেন, বিষয়টি আমি আপনার কাছে শুনলাম। যদি এতিম না থাকে সেখানে বরাদ্দ হওয়ার কথা নয়। আমি বিষয়টি জেনে আপনাকে জানাব।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪