ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টেকনাফে কলেজছাত্র মুরাদ হত্যাকান্ড: কিশোরগ্যাং লিডার রফিক-আদিল অধরা

কক্সবাজার অফিস :

কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারে প্রকাশ্যে কলেজছাত্র মুরাদকে হত্যাকারী দুই কিশোরগ্যাং লিডার এক সপ্তাহেও ধরা পড়েনি। গত ৬ মে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, হত্যাকারিদ্বয় মেরিন ড্রাইভকেন্দ্রিক কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর কিলার। সূত্রমতে, ছাত্রলীগনেতা মুরাদ হত্যাকান্ডের প্রধান কিলার হচ্ছে রফিকুল্লাহ। সে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী গ্রামের মৌলভী অলিউল্লাহর পুত্র।

 

রফিকুল্লাহর ভাই রহিমুল্লাহ হত্যাকান্ড ঘটাতে অন্যতম উসকানিদাতা বলে নিহত মুরাদের পিতা, বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ কোম্পানি বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রমতে, দ্বিতীয় হত্যাকারি আদিল হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেপটখালী গ্রামের ঝগড়াটে ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছৈয়দ আহমদ প্রকাশ জকিরের পুত্র। এই আদিল মুরাদকে মারার জন্য যাবার সময় তার বাবাকে জানালে বাবা জকির নাকি একটি কথাই বলেছিল- একদম ফিনিশ করে এসেই বলিস। বাবার সাহসী উসকানিতে পুত্র আদিল আরো দ্বিগুণ মাত্রায় ঝাঁপিয়ে পড়ে খুনোখুনির কাজে।

 

মেরিন ড্রাইভ কেন্দ্রিক সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং লিডার রফিকুল্লাহ ও আদিল দু’জনই খালাত ভাই। তাদের নেতৃত্বে উখিয়ার সোনার পাড়া, ইনানী থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভ জুড়ে কিশোর গ্যাংয়ের দখলে। তারা মোটর বাইক চুরি এবং ইয়াবা ও আইসের চালান ছিনতাই করে লাখ লাখ টাকা কামাই করে আসছিল।

 

নিহত হার্ভার্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মুরাদকে হত্যা করেই তারা থেমে থাকেনি, মুরাদের বড় ভাই কক্সবাজার সরকারি কলেজের ডিগ্রির ছাত্র মামুনকেও তারা কুপিয়েছে।

 

নিহত মুরাদের পিতা সাইফুল্লাহ কোম্পানি জানান, আমার পুত্র হত্যাকান্ডে ঘটনাস্থলে সরাসরি জড়িত দুই জন এবং অপর দুইজন উসকানিদাতা। তারা চারজনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা করেছি। কিন্তু আজ অবধি একজন খুনিও গ্রেফতার হয়নি। তবে টেকনাফ থানা পুলিশ বলেছে, তারা আসামি গ্রেফতারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

এদিকে রোববার শামলাপুর বাজারে হত্যাকারিদের গ্রেফতারের দাবিতে স্হানীয়রা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।