ই-পেপার | শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জেদ্দায় কূটনীতিকদের সম্মানে কনসাল জেনারেলের নৈশভোজ

মোহাম্মদ ফিরোজ, সৌদিআরব :

যথাযথ মর্যাদার মধ্য দিয়ে ও আনন্দমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সৌদিআরবের জেদ্দায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সন্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন কনসাল জেনারেল জেদ্দা। পবিত্র মাহে রমজানে স্বাধীনতা দিবস হওয়ায় রমজানের শুদ্ধতা বজায় রাখার নিমিত্তে স্বাধীনতা দিবস এর কয়েক দিন পর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন বলে জানান জানান কনসাল জেনারেল নাজমুল হক।

রবিবার (২১ এপ্রিল ) সন্ধ্যায় নাসিম রেডিসন ব্লু হোটেলে বাংলাদেশর ৫৪ তম স্বাধীনতা দিবস আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মাজেন বিন আল হিমালি।

রাত ৮টার দিকে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেদ্দার কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও শ্রম কাউন্সিলর কাজী এমদাদুল ইসলামসহ কনস্যুলেটের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

নৈশভোজ অনুষ্ঠানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, সাউথ আফ্রিকার কনসাল জেনারেলসহ বিভিন্ন দেশের ৩২ জন কনসাল জেনারেল ও আরও অনেক মিশনের ভাইস কনসাল, ওআইসি, আইডিবি, সৌদি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষে স্বাগত বক্তব্য কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ পরিক্রমায় সংঘটিত বিভিন্ন রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম সাহসিকতা এবং বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত পথ ধরে, তাঁর সার্থক উত্তরসূরী ও সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে।

এছাড়া, তিনি প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দল ও মতের বিভেদ ভুলে একযোগে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বির্নিমানে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

মাজেন বিন আল হিমালি এবং কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক কুশল বিনিময় শেষে অপেক্ষমাণ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক নিয়ে কেক কাটেন। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। বাংলাদেশের বিশাল কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন অতিথিরা। নৃত্য ও জয় বাংলা গান ও নৈশভোজ এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।