ই-পেপার | শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন যুবলীগ: আলোচনায় যারা

কর্ণফুলী সংবাদদাতা,চট্টগ্রাম:

কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন যুবলীগের শীর্ষ দুই পদে কারা নেতৃত্বে আসছেন তাঁদের নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা চলছে। এরই মধ্যে সম্ভাব্য কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে যারা সভাপতি-সম্পাদক পদে আসতে পারেন। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনের জল্পনা-কল্পনা ও নেতাকর্মীদের ধারণা, শিগগরই চরলক্ষ্যা ইউনিয়নসহ আরও দুই ইউনিয়নে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হবে। কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগ এবার ক্লিন ইমেজের নেতা উপহার দিতে অনেক সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ।

এতে চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন যুবলীগে সম্ভাব্য সভাপতি পদে প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে-সাহিদুল ইসলাম, মো. হাসান মুরাদ, সেকান্দর মির্জা, মনজুরুল হক, মো. ওমর ফারুক বিজয়, এ এম বাহা উদ্দীন, মো. লোকমান হাকিম, মোহাম্মদ মনির উদ্দীন (মুন্না)। সম্পাদক পদে মো. জাহাঙ্গীর আলম জাবেদ, মো. জাকারিয়া, মো. সালাউদ্দিন টিপু, জয়নাল আবেদীন, মো. তসলিম, মো. আলমগীর আলম, মো. মহসিন, আরিফুল ইসলাম। এরা প্রত্যেকে সিভি সহকারে ফরম জমা দিয়েছেন। তবে উভয় পদে ফরম জমা দিয়েছেন সেকান্দর মির্জা, মো. ওমর ফারুক বিজয়, মো. হাসান মুরাদ ও মনজুরুল হক।

 

তথ্যমতে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অনেকেই আলোচনায় থাকলেও তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, সাহিদুল ইসলাম, মো. হাসান মুরাদ, মো. লোকমান হাকিম ও সেকান্দর মির্জাদের মধ্যে জুটি তৈরি হতে পারে। এ চার জন থেকে সভাপতি সম্পাদকের পদে আসবেন। কারণ মাঠে তাঁদের গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। ফলে, এদের মধ্য থেকে চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন যুবলীগের আগামী নেতৃত্ব তৈরি হতে পারে। সিভিতে তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার দেখা মিলে-সাহিদুল ইসলাম এম.বি.এ পাশ, মো. হাসান মুরাদ এইচ.এস.সি, মো. লোকমান হাকিম এস.এস.সি ও সেকান্দর মির্জা প্রাথমিক ও স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন। এছাড়াও অন্যান্য যারা পদ প্রত্যাশী রয়েছেন তাঁদের মধ্যেও অনেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ বলে জানা গেছে।

সূত্র মতে, চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন সভাপতি-সম্পাদক পদে ২০ জন জনের তালিকা হতে যোগ্য নেতাদের একটি গোপন শর্ট তালিকাও নেতাদের হাতে পৌঁছেছে। উপজেলা নেতারাই কর্ণফুলীতে ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি দেবেন। একেক নেতার একেক বলয় রয়েছে। প্রত্যেক নেতারা যান তাঁদের পিছনে সময় দেওয়া ছেলেরা পদ-পদবিতে আসুক। তাই তদবির তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে আগ্রহীরা। অনেকে পুরাতন ছবি ফেসবুকে ছুঁড়ে জানান দিচ্ছেন কে কোন নেতার অনুসারি।

 

নীতিনির্ধারকদের একটি সূত্র জানায়, কর্ণফুলীর তিন ইউনিয়নে এবার এমন নেতাদের হাতে নেতৃত্ব দিতে চান, যাদের হাতে যুবলীগ ফিরে পাবে তাঁর হারানো গৌরব। এখন বিভিন্ন মাধ্যমে নেতারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে পরিচ্ছন্ন ইমেজ, দক্ষ পরিবারে রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে এমন কাউকে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমেও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যেই প্রভাবশালী নেতাদের কেউ কেউ যার যার অবস্থান থেকে প্রার্থিতা জানান দিতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেগুলো খুব একটা পাত্তা পাচ্ছে না। যুবলীগ নেতাকর্মীদের ভাষ্যমতে, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও দক্ষিণ জেলা শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘন ঘন অনেকেই যোগাযোগ করছেন। এ থেকে মুখরোচক নানা কানাঘুষাও চলছে।

কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দার ও সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হক বলেন, দুই শীর্ষ পদে তিন ইউনিয়নে ৫৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো, সাবেক ছাত্রনেতা ক্লিন ইমেজ দেখে আমরা নেতৃত্বে আনব। তিন ইউনিয়নে তিনটি শক্তিশালী কমিটি উপহার দেব। যারা আগামী নির্বাচনে ভূমিকা রাখবে এবং আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি’র হাতকে শক্তিশালী করবেন।’