ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আ’লীগ দিল্লিতে গিয়ে বিশ্বনেতাদের সাথে সেলফি তুলছে : ডা. শাহাদাত

শেখ আলাউদ্দিন, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মহামারী ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার উদাসীন। দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সিটি করপোরেশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এখন দুর্বলতা ঢাকতে তারা বাড়ির মালিকদের উল্টো জরিমানা করছে। কারণ ডেঙ্গু মশা মারার জন্য যে ওষুধগুলো দরকার তারা সেটি আনতে পারেনি। তারা কোটি কোটি টাকা দিয়ে মশার ঘুমের ওষুধ নিয়ে এসেছে। এই ওষুধে মশা কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে মশা নির্মূল হয়না।

 

সেটি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়েছে। আর সরকারের হতাশাগ্রস্ত আধমরা মন্ত্রীরা ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করে উল্টো বিএনপির উপর দোষ চাপাচ্ছে। তারা সবদিকে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। কারণ নিজেরাই হচ্ছে ভোটারবিহীন একটি সরকার। আওয়ামীলীগ এখন দিল্লিতে গিয়ে বিশ্বনেতাদের সাথে সেলফি তুলছে। কিন্তু এসব দানাই পানাই করে লাভ হবে না। এই সরকারকে বিদায় নিতে হবেই।

 

তিনি শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে মহিলাদলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলাদলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এর আগে কাজীর দেউরী মোড় থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এক বর্নাঢ্য র‍্যালি শুরু হয়ে নুর আহম্মেদ সড়ক হয়ে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

 

এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ এখন দিশেহারা। সরকারের মন্ত্রী, এমপিরা আজ সরাসরি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এসব সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মেহনতি মানুষ অসহায়। এঅবস্থায় জনমতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে সরকার পূণরায় ক্ষমতায় যেতে নিজেদের অধীনে নির্বাচন দিতে চায়। সরকারের একগুঁয়েমির কারণে দেশ অনিবার্য সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হতে দেবে না দেশের জনগণ। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। তিনি আওয়ামী স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

 

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার তার নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে তাড়াতাড়ি তফসিল ঘোষণা করাতে চাইছে। কিন্তু দেশের জনগণের ভোটাধিকার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিকে অগ্রাহ্য করলে জনগণ সেটা মানবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল বিতর্কিত। বিশ্বের কোথাও সেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নেই। দেশে এধরণের নির্বাচন আর হতে দেওয়া হবে না। যেদিন তফসিল ঘোষণা করা হবে সেদিনই জনগণের তীব্র আন্দোলনে নিশিরাতের সরকারের পতন ঘটবে।

 

চট্টগ্রাম মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী।

 

বক্তব্য রাখেন মহানগর মহিলাদলের সিনিয়র সহসভাপতি সকিনা বেগম, সহসভাপতি খালেদা বোরহান, মারিয়া সেলিম, ফারহানা জসিম, মাহমুদা সুলতানা ঝর্না, জুলেখা বেগম জুলি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাবেয়া বেগম রাবু, যুগ্ম সম্পাদক কামরুন নাহার লিজা, শামসুন নাহার প্রেমা, মোছাম্মৎ কামরুন্নেছা, সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলিমা আহমেদ, হাবিবা সুলতানা, হাসিনা মুন্নি, দপ্তর সম্পাদক এড. আয়েশা আকতার সানজি, প্রচার সম্পাদক পারভীন চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এড. বিলকিস আরা মিতু, মনোয়ারা বাবুল প্রমূখ।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪