আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া:
পটিয়া পৌরসভার বহু কাঙ্খিত ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ ৭৮% শেষ হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের মে মাস নাগাদ প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। আর তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্প থেকে ভন্ডালজুড়ি পানি শোধানাগারের পরিশোধিত পানি পটিয়া পৌরসভায় সরবরাহ করা হবে।
এতে আবাসিক পর্যায়ে প্রতি হাজার লিটার পানির দাম পড়বে ১৮ টাকা আর বানিজ্যিক পর্যায়ে পড়বে ৩৫ টাকা। পটিয়া পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ৮ হাজার গ্রাহককে প্রাথমিকভাবে এ সেবার আওতায় আনার টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে পটিয়া পৌরসভার সাথে ইতোমধ্যে করা চুক্তি মোতাবেক ওয়াসা কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে বলে তথ্য প্রকাশ করে মঙ্গলবার পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুলের সাথে মতবিনিময়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শাকিল পৌর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আইয়ুব বাবুল বলেন, আমরা পৌরবাসীর সুপেয় পানির নিশ্চয়তার নিমিত্তে ওয়াসার সাথে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। সেই হিসেবে ওয়াসার সাথে আমাদের চুক্তিও হয়েছে।
আমাদের অনেক সড়ক খুঁড়ে তাদেরকে পানির পাইপ নিতে হচ্ছে। আমরা এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের বিধিমালা অনুসরণ করে ওয়াসাকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস, কাজ যেইভাবে এগিয়ে চলছে, তা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ২০২৪ সালের মে মাস থেকেই পটিয়া পৌরবাসী পানি পাবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন পটিয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান খন্দকার, ওয়াসার সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, পটিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানা, আওয়ামী লীগ নেতা ব্যাংকার নুরুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শাকিল বলেন, আমাদের এ প্রকল্পটির মেয়াদ আগামী ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত হলেও আমরা আশা করছি মে মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নগরীর কল্পলোক আবাসিক পর্যন্ত আমাদের পানির লাইন যাবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এ নিয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করলে স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই কল্পলোক আবাসিক ও ভান্ডালজুড়ি পানি শোধানাগার প্রকল্পের আওতায় চলে আসবে।