ক্রিড়াবাংলা:
নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জিতল লিওনেল মেসির দল। লিগস কাপের শ্বাসরুদ্ধকর এক ফাইনালে নাশভিলেকে ২২ শটের টাইব্রেকারে ১০-৯ ব্যবধানে হারায় তারা। নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতা, এরপর টাইব্রেকারে দুই দলের ১১ জন খেলোয়াড়ের প্রত্যেকেই নিলেন শট। প্রথম পাঁচটি শটে ৪-৪, পরবর্তী চার শটে ৪-৪ এবং সর্বশেষ একটি করে নেওয়া শ্যুট আউটে ১-০ ব্যবধানে জিতে ইতিহাস গড়েছে মেসির মায়ামি।
ন্যাশভিলের ঘরের মাঠ জিওডিস পার্ক স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো ইতিহাস গড়তে নেমেছিল মায়ামি। জয় পেলে ইতিহাস হতো স্বাগতিক ন্যাশভিলেরও। মাঠে বসে ৩০ হাজার দর্শক পুরো ম্যাচে দেখেছেন টান টান উত্তেজনাপূর্ণ এক লড়াই। বলতে গেলে একেবারে পয়সা উসুল ম্যাচ!
মেসি যোগ দেওয়ার পর থেকেই রীতিমত বদলে যায় মায়ামি। একসময় হারের বৃত্তে থাকা মার্কিন ক্লাবটি মেসির জাদুতে ভর করে লিগস কাপের পুরো আসরজুড়ে দারুণ এক নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। সদ্য পিএসজি ছেড়ে মায়ামিতে যোগ দেওয়া আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক চমক।
আগের ৬ ম্যাচেই তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। করেছেন ৯টি গোলের পাশাপাশি এক অ্যাসিস্ট। গোলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ফাইনালেও স্কোরশিটে নাম লেখান তিনি। জিওডিস পার্কে ম্যাচের ২৩ মিনিটে একক দক্ষতায় বাঁ পায়ের বাকানো শটে দুর্দান্ত এক গোল করেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
যদিও সেই লিড দ্বিতীয়ার্ধের পর আর তার দল ধরে রাখতে পারেনি মায়ামি। ৫৭ মিনিটে ন্যাশভিলে সমতায় ফেরার পর জালের দেখা পায়নি আর কোনো পক্ষই।
চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণে ম্যাচটি এরপর টাইব্রেকারে গড়ায়। পেনাল্টি শ্যুট আউটেও কেউ কাউকে ছাড়ার পাত্র নয়। শুরুতেই দলের উত্তেজিত মনোভাবকে স্বস্তিতে রূপ দিতে শট নেন মায়ামি অধিনায়ক মেসি। চোখের ইশারায় গোলরক্ষককে অন্যপাশে ঠেলে দিয়ে তিনি ডানপ্রান্ত ধরে বল জালে পাঠান। এরপর একে একে দুই দলের সবাই গোল করতে থাকেন। তবে ন্যাশভিলে দ্বিতীয় শট এবং মায়ামি চতুর্থ চেষ্টায় সুযোগ হাতছাড়া করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৪।
এরপর খেলা গিয়ে ঠেকে ১১তম শটে। যেখানে নাশভিলে গোলরক্ষকের শট ঠেকিয়ে দেন ড্রেক ক্যালেন্ডার। যার ফলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে মায়ামি।
৭ ম্যাচে ১০ গোল করায় আসরের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটি ওঠে মেসির হাতেই। ব্যক্তিগতভাবে আরও অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন তিনি। লিগস কাপ জিতে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক সতীর্থ দানি আলভেসকে। এটি তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ৪৪তম শিরোপা।