ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বর্ষণ-ঢলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতি

আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন ৮ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎহীন ছিল। উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাতকািনিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও পটিয়া। বন্যাকবলিত এসব এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের প্রায় ৭৫ লাখ টাকার নানা সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ।

 

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৮টি উপজেলায় চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় ৬ লাখ ৩৪ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যার সময় এসব উপজেলার অন্তত ২ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎবিহীন ছিলেন। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়েন সমিতির আওতাধীন অন্য গ্রাহকরাও।

 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী- ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে ৭৮টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে। হেলে পড়ে ১৩৬টি বৈদ্যুতিক খুঁটি। এছাড়া ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে গেছে ৬৭টি, ক্রস আর্ম নষ্ট হয়ে গেছে ৭১টি, ইনসুলেটর নষ্ট হয়ে গেছে ৯৮টি। এছাড়া ৭৪৫টি স্পটে তার ছিঁড়ে গেছে। আর্থিক মূল্যে যা আনুমানিক ৭৫ লাখ টাকার সমান। চট্রগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডিজিএম সদস্য সেবা মুহাম্মদ তোফায়েল আহমে বলেন, টানা বর্ষণ ও ঢল তথা প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিদ্যুৎ বিভাগের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিল। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এখন দক্ষিণ চট্রগ্রামের সব উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।

 

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার দিলীপ চন্দ্র চৌধুরী জানান, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন এলাকায় প্রায় ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এখন সমিতির আওতাধীন সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। প্রায় আড়াইশ’ কর্মী রাতদিন পরিশ্রম করে এ জেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তিনি বিদ্যুতের দূরাবস্থা কাটিয়ে উঠার পেছনে যারা শ্রম দিয়েছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

 

এইচ এম কাদের.সিএনএন বাংলা২৪