বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্থানীয় পত্রিকায় কর্মরত তিন সাংবাদিক। মঙ্গলবার (১৬ মে) মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমাদানের শেষ দিন তারা তাদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশন ও ওই তিন প্রার্থী। তারা হলেন, মেয়র পদে আসাদুজ্জামান আসাদ, ১৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে এম সালাউদ্দিন এবং ২৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রেদোয়ান রানা। তারা স্থানীয় দৈনিকে বিভিন্ন পদে কর্মরত।
এর আগে আসাদুজ্জামান আসাদ জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও তা প্রত্যাহার করে নেন। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেদোয়ান রানা ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এম সালাউদ্দিন এবার নতুন প্রার্থী।
মেয়র প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সবসময় তাদের ক্যাডার বাহিনী দ্বারা জনগণের ওপরে অত্যাচার চালায়। বরিশাল শহরের সাধারণ জনগণ এক ধরনের অঘোষিত কারাগারে বসবাস করছে। এ থেকে মুক্তি পেতে মানুষ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমাকে ভোট দেবে। মানুষের আশ্বাস পেয়েই আমি নির্বাচনের মাঠে নেমেছি।
কাউন্সিলর প্রার্থী রেদোয়ান রানা বলেন, ওয়ার্ডবাসীর বিপদের সময় আমি পাশে ছিলাম। করোনার সময় বর্তমান কাউন্সিলর ওয়ার্ড ছেড়ে শহরে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। আর আমি তখনও মানুষের জন্য কাজ করেছি, এখনও করে যাচ্ছি। এই আত্মবিশ্বাস থেকে আমি মনে করি মানুষ আমাকে ভোট দেবে। জনগণের আশ্বাসে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।
নির্বাচন কমিশনের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত মেয়র পদে ১০ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৬ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
রিটার্নিং অফিসার হুমায়ূন কবির বলেন, ২৩৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও ১৯৮ জন জমা দিয়েছেন। ১৬ মে মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমাদানের শেষ দিন ছিল। যাচাই-বাছাই ১৮ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৬ মে। ভোটগ্রহণ হবে ১২ জুন।
এইচ .এম .কাদের সি .এন .এন. বাংলা২৪