ই-পেপার | শুক্রবার , ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঈদের ছুটিতে লাখো পর্যটকে মুখর কক্সবাজার সৈকত

নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজার:

কক্সবাজার: পবিত্র রমজান মাসের সুনশান নীরবতা কাটিয়ে ঈদের ছুটিতে আবার মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। দূর দূরান্ত থেকে আসা লাখো পর্যটকে ভরে গেছে এ শহর।

এবার ঈদের ছুটির সঙ্গে মিলেছে পহেলা বৈশাখও। সব মিলিয়ে লম্বা ছুটিতে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের কক্সবাজারে আসার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

ঈদ ও পহেলা বৈশাখের লম্বা ছুটি ঘিরে কক্সবাজারেরর পর্যটন ব্যবসায়ীরাও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। নতুন করে সাজানো হয়েছে কক্সবাজারের বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী বেলাল হোসেন বলেন, পুরো রমজান সমুদ্র সৈকত বলতে গেলে ফাঁকাই ছিল। ঈদের দিন সকাল থেকে পর্যটক সমাগম শুরু হয়েছে। তবে অতিরিক্ত গরমের কারণে পর্যটকদের ভোগান্তি একটু বেড়েছে।

 

সৈকতে তারকা মানের হোটেল কক্স টুডের জেনারেল ম্যানেজার (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ বলেন, আমাদের হোটেলে কক্ষ আছে ১৭০টি। ঈদের দিন থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় সব কক্ষ বুকিং হয়ে আছে।

 

একই অবস্থা শহরের অভিজাত হোটেল ওশান প্যারাডাইস, সায়মন বিচ রিসোর্ট, সি গাল, লং বিচ, সি প্যালেস, হোটেল কল্লোল, রয়েল রিসোর্টসহ মাঝারিমানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোর।

কক্সবাজার হোটেল রিসোর্ট গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ঈদের দিন থেকে পর্যটকদের সাড়া বেশ ভালো। ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের টানা সাত থেকে আট দিনের ছুটিতে ব্যাপক পর্যটক সমাগম হবে বলে আমরা আশা করছি।

আবুল কাসেম সিকদার জানান, পর্যটক টানতে রোজার মাসে হোটেল-রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের কক্ষ ভাড়ায় সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে প্রধান। আমরা আশা করছি এই ঈদের ছুটিতে অন্তত চার লাখ পর্যটক জেলায় ভ্রমণে আসবেন।

পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ নানা উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সমুদ্র সৈকতসহ আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রে অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কোনো পর্যটক যেন হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি পর্যটকদের সেবা ও ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করছে।