ই-পেপার | শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপ ও সমঝোতার আহবান

মুজিব উল্লাহ তুষার:

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আগামী ১ নভেম্বর ২০২৩ থেকে ২৯ জানুয়ারী ২০২৪ – এর মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর কোন কারণে সংসদ ভেঙ্গে গেলে পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে।

এই দেশের জনগন চায় নির্বাচন হোক অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।কিন্তু বিরাজমান রাজনৈতিক বাস্তবতা অংশগ্রহণমূলক তথা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন জন্য অনুকূল নয়। কেননা, ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার জোটসঙ্গীরা চায় বর্তসান সংবিধানের আওতায় অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।অপরদিকে ক্ষমতাপ্রত্যাশী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলসমূহ চায় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন। ইতোমধ্যেই এই রাজনৈতিক দলসমূহ সরকারের পদত্যাগ -এর এক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, রাজপথ ততই উত্তপ্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। রাজপথে সংষর্ঘ ও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।

জনগন চায় রাজনৈতিক দলসমূহ যদি অভিলম্ভে তাঁদের অবস্থান পরিবর্তন না করে বা তাদের মধ্যে যদি সমঝোতা না হয়,তবে সামনের দিনগুলোতে জাতিগতভাবে আমরা চরম সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হতে পারি,দেশ চলে যেতে পারে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে – যা করোই কাম্য নয়।

একটি অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ,শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপ ও পারস্পরিক সমঝোতা।

রাজনৈতিক দলসমূহকে আলাপ – আলোচনার মধ্য দিয়েই সমঝোতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ এবং সমঝোতাসূত্র নির্ধারণ করতে হবে।

 

মুজিব উল্লাহ তুষার
সাংবাদিক, চট্টগ্রাম।