ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফরিদপুরে ছাত্রীকে অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: হেলপার-সুপারভাইজারসহ আটক ৩

জোবায়ের রহমান, ভাঙ্গা ফরিদপুর:

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রচেষ্টা পরিবহনের একটি বাসের যাত্রী, মাদ্রাসাপড়ুয়া ১৩ বছরের এক কিশোরী ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় ওই বাসের সুপারভাইজার, হেলপার ও এক নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ভাঙ্গা থানার পুলিশ। পরে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা কালাম শেখ বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগীকে শারিরীক পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো, প্রচেষ্টা পরিবহনের কন্ডাকটর আসিফ সরদার (২২), হেলপার রাকিব মাতুব্বর (২৪) ও তার মা লিলি বেগম (৫০)।

মেয়েটির দুলাভাই সুমন আহমেদ বলেন, তার শ্যালিকা ঢাকার হাজারীবাগ খাদিজাতুল কোবরা নামের একটি মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী। হাজারীবাগে একটি ভাড়া বাসায় তাদের সাথেই থাকে সে। গত রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে তাকে আমার শ্বশুরবাড়ি নগরকান্দার পীরের গ্রামে যাওয়ার জন্য বাবুবাজার থেকে ভাঙ্গাগামী প্রচেষ্টা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব- ৬৪৮৩) একটি বাসে তুলে দেই আমি ও আমার স্ত্রী। এদিকে আমার তার জন্য ভাঙ্গায় অপেক্ষা করছিলেন আমার শ্বশুর কালাম শেখ।

 

মেয়েটির বাবা বলেন, মেয়েকে না পেয়ে তার মোবাইলে ফোন দিলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খুঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে রাতে পুলিশকে জানানো হয়।

 

ভাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার এসআই জুয়েল বলেন, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এ ব্যাপারে একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পরিবারের লোকজনকে সাথে নিয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এরপর সোমবার সকালে ওই বাসের সুপারভাইজার আসিফকে আটক করার পর বেরিয়ে আসে মূল রহস্য। পরে তার দেয়া তথ্য মতে উপজেলার হেলিপোর্ট সংলগ্ন কাপুড়িয়া সদরদী নামক গ্রামে হেলপার রাকিবের বাসা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

 

জানা যায়, ভাঙ্গায় পৌঁছার পর মেয়েটিকে বাস থেকে নামতে না দিয়ে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে, কিছুদূর সামনে নিয়ে নামিয়ে হেলপার রাকিবুলের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় রাকিবুলের মা বাসায় ছিলেন।

 

মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই মনির বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪