মোঃ সালেহ আহমদ (স’লিপক), সিলেটঃ
মৌলভীবাজার জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসমানী নগর থানাধীন গোয়ালাবাজারের একটি মিষ্টির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন, সিলেটের বিশ্বনাথ থানার দেওকলস গ্রামের মৃত মুহিবুর রহমানের ছেলে সায়েক মিয়া (৪০) ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা এলাকার জয়পুর গ্রামের পিয়ারী মোহন বর্মনের ছেলে কৃষ্ণ বর্মন (৩৩) (আদি নিবাস বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলা)।
জানা যায়, দীর্ঘ দিনের গোয়েন্দা নজরদারির পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা পরিদর্শক অমর কুমার সেনের নেতৃত্বে দিনব্যাপি অভিযান পরিচালনা করে উল্লিখিত এলাকা হতে আসামীদ্বয়কে বর্ণিত আলামতসহ (১০ হাজার পিস ইয়াবা) গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সায়েক মিয়ার মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং করে গোয়ালাবাজারে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পরিদর্শক অমর কুমার সেন রেইজিং পার্টিসহ গোয়ালাবাজার এলাকায় অবস্থান করেন।
উল্লেখ্য যে, আসামীদ্বয় কর্তৃক মৌলভীবাজার সদর থানাধীন শেরপুর এলাকায় এসব মাদক সরবরাহ করার তথ্য ছিল। কিন্তু তারা শেরপুর এলাকা অতিক্রম করে ওসমানী নগর থানাধীন গোয়ালাবাজার এলাকায় চলে যায়। অতঃপর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালককে অবহিত করে তার অনুমতিক্রমে ওসমানী নগর থানাধীন গোয়ালাবাজার এলাকায় স্বাদ নামীয় মিষ্টির দোকান ঘেরাও করা হয়। অভিযান পরিচালনা করার সময় আসামীদ্বয় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রেইডিং টিমের সাহসী তৎপরতায় তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের দেহ ও ব্যাগ তল্লাশী করে মোট ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ভারতীয় ৭৫০ রুপি, বাংলাদেশী ২ হাজার টাকা এবং আসামীদ্বয়ের ব্যবহৃত দু’টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয় এবং আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামী কৃষ্ণ বর্মন দীর্ঘদিন যাবৎ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে যা কৃষ্ণ বর্মন ও সায়েক মিয়া বাংলাদেশে নিয়ে এসে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ ও বিক্রয় করে। আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরোও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে যেগুলো বিশ্লেষন করে এই নেটওয়ার্কের অন্যদেরকেও নজরদারীর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ পরিদর্শক অমর কুমার সেন জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পাড়ি ইয়াবার একটি বড় চালান শেরপুর হয়ে সিলেট যাচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুর এলাকায় অভিযান করলে মাদক বহনকারীরা টের পেয়ে একটি গাড়িযোগে সিলেটের দিকে রওনা দেয়। এসময় তাদের পিছু নিয়ে গোয়ালাবাজার এলাকায় একটি মিষ্টির দোকান থেকে তাদেরকে ১০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ হাতানাতে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ মোতাবেক সিলেটের ওসমানী নগর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।