নিজস্ব প্রতিবেদক:
আদালতের হাজতখানায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এবং সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বুধবার (৫ জুলাই) মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজত খানার ইনচার্জ সাদিকুল ইসলাম বিষয়টি সিএনএন বাংলা২৪কে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ সকাল ৯টায় কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে অন্য আসামিদের সঙ্গে এ মামলার আসামি বাবর ও এএইচএম ফুয়াদকে আদালত চত্বরে আনা হয়। এরপর তাদেরকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তিনি (বাবর) অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে পুলিশ পাহারায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন তিনি।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি। গত ২২ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। আজ (বুধবার) এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটিতে কিছু অসংগতি দেখতে পাওয়ায় স্বপ্রণোদিত হয়ে সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। সেই নির্দেশনা মেনে নতুন করে আরও ৩৭ জনকে আসামি করে মোট ৪৭ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় সিআইডি।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম বাবর, তার এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী , ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: