আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামাবাদ এবং মস্কোর মাঝে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির আওতায় প্রথমবারের মতো রাশিয়ার কাছ থেকে মূল্যছাড়ে তেল কেনার অর্ডার দিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রী রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী আগামী মে মাসে প্রথম দফায় রুশ তেলবাহী একটি কার্গো করাচি বন্দরে নোঙ্গর করবে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর পশ্চিমারা মস্কোর বিরুদ্ধে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। আর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সুযোগে এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে নতুন নতুন ক্রেতাদের কাছে সস্তায় জ্বালানি বিক্রি করছে রাশিয়া।
ইউক্রেন যুদ্ধের পরপরই রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এর পাশাপাশি চীনও রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি রপ্তানি বৃদ্ধি করেছে। এর মাঝেই আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ক্রেতা পাকিস্তানের কাছে অপরিশোধিত তেল বিক্রি শুরু করলো রাশিয়া।
পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রী মোসাদ্দিক মালিক বলেছেন, চুক্তির আওতায়র রাশিয়ার কাছ থেকে কেবল অপরিশোধিত জ্বালানি কিনবে পাকিস্তান।
নতুন চুক্তির আওতায় ইসলামাবাদ রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কিনবে এবং প্রথম দফার লেনদেন যদি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় প্রথম লেনদেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে এই আমদানির পরিমাণ দিনে গড়ে এক লাখ ব্যারেলে পৌঁছাতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের এই মন্ত্রী বলেছেন, আমরা প্রথম দফার তেলের অর্ডার করেছি। তবে পাকিস্তান রাশিয়ার কাছ থেকে পরিশোধিত জ্বালানি কিনবে না বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
তেল কেনার এই আলোচনার সাথে সংশ্লিষ্ট মস্কোর একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, সম্প্রতি পাকিস্তান এবং রাশিয়ার মাঝে তেল বেচাকেনার এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে।তবে এই বিষয়ে রাশিয়ার সরকার কোনও মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এর আগে, গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দৈনিক গড়ে এক লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছিল পাকিস্তান। দেশটির তেল আমদানির এই পরিমাণ তার আগের বছরের তুলনায় বেশ স্থিতিশীল বলে কেপলারের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে।
২০২২ সালে পাকিস্তানের বেশিরভাগ অপরিশোধিত তেলের শীর্ষ রপ্তানিকারক ছিল সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। এখন রাশিয়ার কাছ থেকে দিনে এক লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জ্বালানির ওপর পাকিস্তানের নির্ভরতা অনেকাংশে কমে যাবে।
ডি .এন .নিউজ .এইচ .এম .সালাহ উদ্দীন কাদের