ময়মনসিংহ ব্যুরো:
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীতে বিএনপির পথযাত্রার সময় হিট-স্ট্রোক করেন ইউপি সদস্য রুহুল আমিন সরকার (৩২)। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নের হিরণ পলাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল ১০ টায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা দিয়ে রুহুল আমিন সরকারের কফিন ঢেকে দেয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ময়মনসিংহে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে অতিরিক্ত তাপদাহে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন রুহুল আমিন সরকার। তিনি ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরাণগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহ নগরীর বিএনপি দলীয় কার্যালয় থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়ে চরপাড়া এলাকায় পৌঁছলে একপর্যায়ে রুহুল আমীন অসুস্থবোধ করেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর শোকাহত স্বজনদের সমবেদনা জানাতে দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান সরকার রোকন রুহুল আমিন সরকারের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।
জানাজায় অংশ নেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি সাবেক সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স. দক্ষিণ জেলা যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব জাকির হোসেন বাবলু, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান সরকার রোকন. কোতোয়ালি থানা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, পরানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ সরকার, সিরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আবু সাঈদ সরকার, পরানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সোলায়মান কবির মাষ্টার, ৫নং- ওয়ার্ডের বীর বওলার সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম আব্বাস বাবুল, সিরতা ইউনিয়নের চর দূর্গাপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন লিটন প্রমূখ।
যুবদলনেতা রুহুল আমিন সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
