ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পেকুয়ায় হাতুড়িপেটা ও কুপিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যা

এসএম জুবাইর, পেকুয়া:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় আব্দুল মালেক প্রকাশ মালেক মাঝি (৩৫) নামের এক যুবককে ভাতের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে রাতের আধারে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত।

১৭ জুলাই দিনগত রাত দেড়টার দিকে টৈটং ইউপির ঘোনার মাথা এলাকার মীর আহমদের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটলে পুলিশ আহতকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করে।

১৮ জুলাই দুপুর ৩ টায় চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মালেক মাঝির মৃত্যু হয়। নিহত আব্দুল মালেক টইটং ইউনিয়নের গুড়িকাটা এলাকার নুরুল হকের পুত্র।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, ওইদিন রাতে আবদুল মালেককে একই ইউনিয়নের ঘোনার মাথা এলাকার মীর আহমেদের বাড়িতে ভাতের দাওয়াতের কথা বলে ডেকে নেন রাশেদ নামের এক আত্মীয়ের ছেলে। ওই সময় মীর আহমদ, তার ভাই বাহাদুর ও মীর আহমদের ছেলে রাশেদ, আরফাত, এরশাদসহ আরো কয়েকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় আবুল কাশেম নামের এক যুবক এ ঘটনার খবর পেয়ে আহত মালেক মাঝির বাড়িতে খবর দেন। তার ভাই আব্দুল খালেক মাঝি ও মোহাম্মদ ফারুকসহ লোকজন এবং পেকুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মীর আহমদের বাড়ী থেকে আব্দুল মালেককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বড় ভাই আব্দুল খালেক জানান, আমার ভাই আবদুল মালেককে মীর আহমেদের ছেলে রাশেদ কল করে তার বাড়ীতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে তারা।

তিনি আরো বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে নির্বাচন করছিল সে। নির্বাচনে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আমার ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির দিকনির্দেশনায় সুকৌশলে এ হত্যার ঘটনা ঘটায়।

নিহতের ভাই ফারুক জানান, নির্বাচনের ইস্যুকে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার দাবী করছি। গত ইউপি নির্বাচনে আমার ভাই মেম্বার পদে প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী আমার ভাইকে নির্বাচনে হেরে দেয়। তখন থেকে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কিছু প্রভাবশালী ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী, একই ইউপির খলিফামুরা এলাকার মৃত বজল আহমদের পুত্র আবুল কাসেম বলেন, আমার এক বন্ধু আমাকে কল করে ঘটনা সম্পর্কে জানালে তৎক্ষনাৎ আব্দুল মালেকের ভাই আব্দুল খালেককে বিষয়টি ফোন করে জানালে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আমরা গিয়ে আব্দুল মালেককে মীর আহমেদের বাড়ীতে হাত-পা দড়ি দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করি।

এদিকে টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন লোকজন ও নিহতের কাছ থেকে বক্তব্য নিয়েছে।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, হত্যার ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে কেউ এখনো কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪