ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিক্ষকতা ছেড়ে প্রকৃতিপ্রেমী সাংবাদিক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ময়মনসিংহঃ

সাংবাদিক আজহারুল ইসলাম ফাহিম তার লেখনি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একের পর এক প্রাকৃতিক দৃশ্যের ভিডিও; পশু পাখি, রাস্তাঘাট, সামাজিক উন্নয়ন তুলে ধরে পোস্ট এবং পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। সোস্যাল মিডিয়ায় পরিচিত মুখ বলা যায়। ব্যক্তি জীবনে সাংবাদিক আজাহার বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক।

 

সাংবাদিক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম ফাহিম ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের মেনজেনা গ্রামের আশরাফ আলী ফকিরের ঘরে ১৯৮৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। আশরাফ ও খোদেজা দম্পতির ৫ সন্তানের মধ্যে সাংবাদিক আজাহার দ্বিতীয়। তাদের ৫ সন্তানের মধ্যে চার মেয়ে ও একমাত্র ছেলে আজাহার।

 

একটি মাত্র ছেলে সন্তান, তাই কৃষক মা-বাবা তাদের ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করান পড়াশোনার জন্য। মেনজেনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেনীতে ভর্তি করা হয় আজাহারকে। তিনি নারাংঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং উথুরা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি, জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয় বিএ পাশ করেন। তিনি চামিয়াদী স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও সাংবাদিকতার প্রতি তার দূর্বলতা ছিল ছাত্রজীবন থেকেই। আর তাই শিক্ষকতার পাশাপাশি ময়মনসিংহের সাংবাদিক মো: মফিজ উদ্দিনের হাত ধরে সাংবাদিকতা শুরু করেন। কিছুদিন পর সাংবাদিকতার টানে শিক্ষকতা ছেড়ে দেন। সাংবাদিকতা ও ছোটখাট ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। বর্তমানে সাংবাদিকতার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানীতে এফএ পদে কর্মরত।

 

সাংবাদিক আজহারুল ইসলাম ফাহিম বজ্র শক্তি পত্রিকায় কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, দৈনিক তরুন কন্ঠ, দৈনিক আজকের বসুন্ধরা, মুক্ত খবর ও মুক্ত আলো পত্রিকায় কাজ করেছেন। বর্তমানে দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকায় ব্যুরো প্রধান হিসেবে কর্মরত। তার লেখনি ও সাংবাদিকতায় মুগ্ধ হয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল আলম বাপ্পি চৌধুরী তাকে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সদস্য মনোনীত করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভালুকা প্রেসক্লাবের সদস্যও তিনি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। আজহারুল ইসলাম ফাহিম সাংবাদিকতার উপর একাধিকবার ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করে সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন।

একান্ত আলাপচারিতায় বর্তমান সাংবাদিকতা নিয়ে আজহারুল ইসলাম ফাহিম বলেন, আমি যাদের হাত ধরে বা সহযোগিতায় সাংবাদিকতায় এসেছি তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার সাংবাদিকতার গুরু সাংবাদিক মফিজ উদ্দিন মন্ডল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল আলম বাপ্পি চৌধুরী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভালুকা প্রেসক্লাবের সভাপতি জিয়া উদ্দিন বাশার আমাকে শিখিয়েছেন সাংবাদিকতা কি?

তিনি বলেন- ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হলো সাংবাদিকতা। আর বর্তমানে সাংবাদিকতা আরো বেশি ঝুঁকির মুখে। এর প্রধান কারণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আমি মনে করি ডিজিটাল আইন বাতিল হলে সাংবাদিকদের জন্য ভালো হবে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে এই আইনটির বাতিল চাই। পাশাপাশি অপসাংবাদিকতা রুখতে সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। টাকা হলেই সাংবাদিক হওয়া যায় এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। সম্পাদকগণ যাচাই-বাছাই করে যোগ্যতা অনুযায়ী ও নীতিমালা অনুযায়ী সাংবাদিক নিয়োগ দিলেই কেবলমাত্র অপসাংবাদিকতা বন্ধ করা সম্ভব। সাংবাদিকদের একটা সম্মানি ভাতা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান সাংবাদিক আজহারুল ইসলাম ফাহিম।

 

এইচ এম কাদের, সিএনএন বাংলা২৪