ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মা-বাবাকে না পেয়ে মেয়েকে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগে প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের শীলকূপ ৬নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া এলাকায় আবুল কাশেমের বাড়িতে মা-বাবার অনুপস্থিতি টের পেয়ে দা দিয়ে টিনের বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মুন্নি আক্তার নামে তাদের মেয়েকে মারধর ও বসত বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মো. সোহেল (৩২)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

গ্রেপ্তারকৃত আসামী মো. সোহেল একই এলাকার বাদশা মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় আবুল কাশেমের স্ত্রী আছমা বেগম বাদী হয়ে অন্তত আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

 

জানা যায়, শীলকূপের মাইজপাড়া এলাকায় বাদশা মিয়ার সাথে প্রতিবেশী আবুল কাশেম এর মধ্যে বাড়ীর সামান্য সীমানা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদ নুরী উভয়ের সাথে বসে মিমাংসার কথা হয়। মিমাংসার পূর্বেই আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী আছমা বেগম বাড়িতে না থাকার খবর পেয়ে বাড়িতে ডুকে তাদের মেয়ে মুন্নি আক্তার কে বাদশা মিয়ার পুত্রগণ লোহার রড দিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় মেয়ের মাথায় ছয়টি সেলাই হয়। এসময় আবুল কাশেমের রিকশার কিস্তি পরিশোধের জন্য বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও একটি এন্ড্রয়েট মোবাইল সেটসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।’

 

মামলার বাদী আছমা বেগম জানান, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে চুরি ও লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া মালামাল ফেরত চাইলে এবং আমার মেয়েকে মারধরের প্রতিবাদ করলে আসামীগণ আমার মাথায়, পায়ে, কোমরে লোহার রড দিয়ে গুরুতর জখম করে আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরে আমরা মামলা করলে আসামীগণ আমাদেরকে খুন করে ফেলবে মর্মে হুমকী দেয়।’

 

এ ঘটনায় আছমা বেগম বাদি হয়ে সোহেলকে ১নম্বর ও মো. এরশাদকে ২ নম্বর আসামি করে আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ গতকাল শনিবার প্রধান আসামি মো. সোহেলকে গ্রেপ্তার করে।

 

বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন পিপিএম জানান, এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় এবং ঘটনার প্রধান আসামি মো. সোহেলকে গ্রেপ্তার করে এবং বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: