ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে হামাসের সম্মতি শিগগির: প্রতিবেদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজায় অতি দ্রুতই একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। এমনকি সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই একটি কার্যকর হতে পারে। এ লক্ষ্যে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী হামাসও শিগগির যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় উত্থাপিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি দেবে বলে ফিলিস্তিনি প্রাচীন সংবাদমাধ্যম আল-কুদসকে জানিয়েছে একটি সূত্র। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল-কুদসকে জানিয়েছে, হামাসসহ অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী নিয়ে গঠিত জোট আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।

 

সূত্রটি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এখনো ছোট ছোট বেশ কিছু শর্ত উপস্থিত আছে। বিশেষ করে, ইসরায়েলি পক্ষের নমনীয়তা, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর তরফ থেকে উত্থাপিত চুক্তিতে পৌঁছানোর আগে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন না করতে ছাড় দেওয়া, হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তাদের জীবিত থাকার প্রমাণ ইত্যাদির সাপেক্ষে খুব শিগগির এই চুক্তির আলোচনা শুরু হতে পারে।

 

সূত্রটি আশা প্রকাশ করে বলেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে পক্ষগুলো। সূত্র জানিয়েছে, বিগত কয়েক ঘণ্টায় মিসর, কাতার, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলি আলোচকেরা ঘনঘন বৈঠক করেছেন এবং ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দী বিনিময়ের অনুপাত কেমন হবে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

 

এ বিষয়ে মিসরীয় টিভি চ্যানেল কানাতুস শারক্বি এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিগত কয়েক ঘণ্টায় মিসর, কাতার, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলি আলোচকেরা ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দী বিনিময়ের অনুপাতের বিষয়টি নির্ধারণে বেশ কয়েক দফায় বৈঠকে বসেছেন।

 

মিসরীয় চ্যানেলটি আরও জানিয়েছে, হামাস স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছে। মার্কিন আশ্বাস এবং প্রস্তাবিত চুক্তির খসড়া অনুসারে চুক্তির তৃতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং এর অর্থ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আর গাজায় ফিরে আসবে না।

 

এদিকে, কাতারের সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে—হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তির বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে কাতারের প্রতিনিধিদল আজ শনিবার কায়রোর উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। হামাসের প্রতিনিধি দলও আজ সকালে কায়রো পৌঁছেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরীয় কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ থেকেই চূড়ান্ত আলোচনা শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

 

অপরদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, বর্তমানে যে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে তা হামাসের জন্য ‘মেনে নেওয়া খুবই সহজ’ এবং এই প্রস্তাব হামাসের মেনে নেওয়া উচিত। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছি যে, কার্যত তারা (হামাস) যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে হ্যাঁ-সূচক উত্তর দেয় কি না। এই মুহূর্তে বাস্তবতা হলো, গাজার জনগণ ও যুদ্ধবিরতির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা একমাত্র বিষয়টিই হলো হামাস।’