ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজারে ভয়ঙ্কর টর্চার সেল,পুলিশের সাবেক এসআইসহ ৩ জন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : সমুদ্রের গর্জন আর শান্ত-শীতল পরিবেশের আড়ালে গড়ে উঠেছে একটি ভয়ঙ্কর চক্র। যেখানে সারাবছরই আনাগোনা থাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকের। তাদের টার্গেট করেই চক্রটির উত্থান। এটির নেপথ্যে আছেন পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তা। যিনি মাদক কারবারের দায়ে কারাভোগ শেষে বাহিনী থেকে বরখাস্ত হন। তার নেতৃত্বে কক্সবাজার শহরের কলাতলি হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় সক্রিয় এক অপহরণ চক্র।

এদের রয়েছে একটি ভয়ঙ্কর টর্চার সেল। ধরে নিয়ে সেখানে আটকে রাখা হয়। মুক্তিপণ দেওয়ার পরও মেলে না মুক্তি। চলে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন। ঢাকা থেকে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে চক্রটির বিষয়ে জানতে পারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এই চক্রকে ধরতে শুক্রবার রাতভর র‌্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীর নেতৃত্বে অভিযান চলে।

অভিযানে কক্সবাজার শহরের কলাতলি ও সুগন্ধা এলাকায় দুটি টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার দুজন হলেন, শাহজাহান কবির ও মঞ্জুর আলম। অপর তিনজনের দুজন রোহিঙ্গা দম্পতি। আরেকজনের নাম ও কোনো পরিচয় প্রকাশ করেনি র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চক্রের মূলহোতা পুলিশের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল পারভেজ।

তিনি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন মাইতুল সরকারবাড়ী এলাকার মৃত এরশাদ আলমের ছেলে। তার সহযোগী অপর দুজন হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার নতুন বাহারছড়া এলাকার মো. ইউনুসের ছেলে এমটি মুন্না ও একই এলাকার মৃত আবদুল করিমের ছেলে মো. ইউসুফ। এর মধ্যে মুন্না সম্পর্কে ইকবাল পারভেজের শ্যালক।

কক্সবাজার ঘুরতে এসে নিখোঁজ: ঢাকা থেকে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে ১৬ মে নিখোঁজ হন শাহজাহান কবির ও মঞ্জুর আলম। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে একটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে টাকা চাওয়া হয়। ১৫ লাখ টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে, ফোনে জানানো হয়। টাকা পরিশোধ করা হলেও তাদের মুক্তি মেলেনি। ১৯ মে শাহজাহানের বোন আমেনা বেগম কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। এটির ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব। শেষমেশ তদন্তে চক্রটির সন্ধান পাওয়া যায়।

 

এইচ এম কাদের সিএনএন বাংলা২৪