সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও।
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে এক প্রিসাইডিং অফিসারকে মেরে রক্তাক্ত করেছে বিক্ষুব্ধরা।রবিবার রাতে বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঈদগাঁও ইউনিয়নে সোহেল জাহান চৌধুরী, জালালাবাদ ইউনিয়নে আলমগীর তাজ জনি, ইসলামপুর ইউনিয়নে মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন এবং ইসলামাবাদ ইউনিয়নে আব্দুর রাজ্জাক এমইউপি বেসরকারি খবরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে পোকখালি ইউনিয়নের ফলাফল নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। আহত প্রিসাইডিং অফিসারের নাম আনসারুল করিম। তিনি কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে আজ সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে । সকাল আটটা থেকে যথারীতি ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটরা ইউনিয়ন ভিত্তিক দায়িত্ব পালন করেন। বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ দল নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে। সকালে প্রতিটি কেন্দ্রের নারী ভোটারদের উপস্থিতি ব্যাপক লক্ষ্য করা যায়। দুপুরে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর দুপুর জানান, এ পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক। কোথাও জাল ভোটের খবর পাওয়া যায়নি। ভোটাররা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে আনন্দিত। এবার ৩৭৫ জন বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে ঈদগাঁও মেহেরঘোনা শাহ জব্বারিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে চেয়ারম্যানের ফলাফল ঘোষণা না করায় বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে ফলাফল ঘোষণার দাবি জানালে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এগিয়ে থাকা চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরী বক্তব্য দিয়ে উপস্থিত জনতাকে শান্ত করেন।
অপরদিকে পোকখালী ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের গন্ডগোলের কারনে উপজেলা নিয়ে আসা হয়েছে। তবে রাত ১২টা নাগাদ এ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।