ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মৎস্য বিভাগের অভিযানে মারধর, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জেলে নিখোঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক,পাথরঘাটা (বরগুনা):

পাথরঘাটা (বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটা সংলগ্ন বিষখালি নদীতে বরগুনা সদর মৎস্য বিভাগের অভিযানের সময় তিন জেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় এক জেলে মারধর থেকে রক্ষা পেতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মো. রিপন (৪১) নামের একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার সঙ্গে থাকা জেলেরা।

 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে আহত রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বিষখালীর নদীর দক্ষিণ কুপদোন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন দুই জেলে।

 

নিখোঁজ জেলে রিপন উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ কুপদোন গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত জেলে রাসেল একই এলাকার নুরু মোল্লার ছেলে এবং সুলতান হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন।

 

আহত জেলে রাসেল মুঠোফোনে জানান, প্রতিদিনের মতো বিষখালী নদীতে মাছ শিকার করতে যায় কালমেঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ কুপধোন এলাকার দুটি ইঞ্জিন চালিত নামবিহীন ট্রলার। বরগুনা সদর উপজেলার মৎস্য বিভাগ অবৈধ খুঁটি অপসারণের জন্য আসে। তখন ওই দুটি ট্রলারকে ধরে সেখানে থাকা জেলেদের মারধর করেন তারা। মারধরের একপর্যায়ে রিপন নদীতে ঝাঁপ দিলে পরবর্তী সময়ে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর রাসেল ও দেলোয়ারকে নিয়েই অভিযান চালায় মৎস্য বিভাগ। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে অভিযান শেষে রাসেল ও দেলোয়ারকে তীরে ছেড়ে দেয়।

 

তিনি আরও জানান, নিখোঁজ রিপনের কথা জানতে চাইলে লাঠি এবং বাঁশ দিয়ে রাসেল এবং দেলোয়ারকে মারধর করেন।

 

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, বরগুনা সদর থেকে গতরাতে বিষখালি নদীতে অবৈধ খুঁটিগুলো অপসারণের জন্য একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় কিছু জেলেরা সহযোগিতা করেছেন। তখন কোনো জেলেকে আটক করার হয়নি। এ সময় কোনো জেলে নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি। তাদেরকে যে মারধর করা হয়েছে এটা সত্য নয়।

 

পাথরঘাটা থেকে কিছু ছবি পাঠানো হয়েছে সেই ছবিতে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। ইতিমধ্যে আমি বরগুনা জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করেছি।

 

এদিকে জেলে নিখোঁজের সংবাদে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল আবু সালেহ, পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, কালমেঘা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম নাসির, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।