ই-পেপার | শনিবার , ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টেকনাফের হ্নীলায় জনতার হাতে ডাকাত আটক

মোঃ আলমগীর আকাশ,টেকনাফ প্রতিনিধি:

টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী গ্রামে জনতার হাতে ডাকাত আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান,গত এক সপ্তাহ ধরে এলাকার মানুষজন রাতদিন পাহাড়ায় ছিলেন ডাকাত দলের ভয়ে। অবশেষে আজ রাতে ১২/১৫ জনের একটি ডাকাতের দল ডাকাতি করতে আসলে জনগণ তাদের ঘিরে ফেলে একজনকে ধরতে সক্ষম হয়

জানা যায়,২১এপ্রিল ভোররাত ২টারদিকে। উপজেলার হ্নীলা ইউপির পশ্চিম পানখালী শিয়াইল্যা মোরার মৃত হায়দর আলীর পুত্র সোনা মিয়ার বসত-বাড়ি লুটপাট করতে পাহাড় হতে ১০/১৫জনের একটি স্বশস্ত্র গ্রুপ নেমে বাড়িতে হানা দেয়। এসময় সর্তক অবস্থানে থাকা প্রতিবেশী লোকজন টের পেয়ে ধাওয়া করে হ্নীলা মরিচ্যাঘোনা বড়বিলের আহমদ হোছন প্রকাশ দোয়াশীর পুত্র এবং ৪/৫টি ডাকাতি মামলার আসামী ডাকাত মোহাম্মদ সাইফুল ওরফে গুটি সাইফুল্লা (৩০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। তাদের দলের আরো ১৪ জন মতো পালিয়ে গেছে।

বর্তমানে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি টিম পানখালী এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

ডাকাতদের পাহারায় ঘুমহীন রাত পার করছে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পান খালী গ্রামের মানুষ। এসব এলাকার বেশিরভাগ মানুষ হতদরিদ্র, তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে কৃষিকাজ। কাজেই কিশোর, যুবক থেকে শুরু করে নারী-পুরুষ সবাইকে সারাদিন মাঠে কাজ করতে হয়। মাঠের কাজ শেষে যখন তাদের বিশ্রাম নেয়ার কথা তখন নিজেদের রক্ষার জন্য রাত জেগে ডাকাতদের পাহারা দিতে হয়। রাতভর পাহারার পর সকালে আবার তাদের কাজ করতে মাঠে যেতে হয়। এভাবে বিশ্রামহীন দিন পার করছে হ্নীলা সহ আশপাশের এলাকাগুলোর মানুষ। তবে পাহারা দিয়েও ডাকাত দলকে থামানো যাচ্ছে না।

সুযোগ বুঝে লুটে নিচ্ছে গবাদি পশু থেকে শুরু করে স্বর্ণালংকার, এবং মাঝে মাঝে অপহরণের ঘটনাও ঘটে থাকে এই এলাকায়। প্রতিবাদ করলে পাহাড় নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয় রাতবর। পাশাপাশি ডাকাতদের সঙ্গে গ্রামবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে প্রতিদিন।গত কয়েকদিনে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতররা নিরীহ মানষের  নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও খামার থেকে গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। রাতে এ সকল এলাকাগুলো দিয়ে চলাচল করলে নিরীহ মানুষকে ছিনতাইয়ের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিনে ডাকাতের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশকয়েকটি বাসা বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ গরু চুরি করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গভীর রাতে ডাকাত দল প্রতিদিনই হানা দিচ্ছে কোনো না কোনো বাড়িতে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারি, কৃষক ও এলাকাবাসী।

এসব কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই রাত জেগেই পাহারা দিতে হচ্ছে খামারিদের। এছাড়া পান খালী থেকে হ্নীলা বাজার যাওয়া রাস্তাটি জনশূন্য হওয়ার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।