নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম: সম্পদ বিবরণীতে পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় এবং আট কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৪৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমস ট্রেনিং একাডেমির সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া হাজারী, তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও তাদের মেয়ে সাদিয়া আক্তার ফারহার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক।
তারা ফেনী সদরের মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
বর্তমানে সিডিএ এলাকায় বসবাস করছেন। মঙলবার (২০ জুন) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–২ এ মামলা দুটি করেন একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক।
সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অনুসন্ধানে বের হয়ে আসা তথ্যের ভিত্তিতে এই দম্পতি ও তাদের মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়- দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিন কোটি ৫০ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন গোলাম কিবরিয়া হাজারী।
পাশাপাশি তিনি তিন কোটি ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
কাস্টমস বিভাগের চাকরিতে থাকা অবস্থায় অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে মেয়ের নামে সম্পদ অর্জনের সহযোগিতা করেছেন। এজন্য মেয়ে ফারহা দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৮৩৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন গোলাম কিবরিয়া হাজারীর স্ত্রীর সেলিনা আক্তার। পাশাপাশি তিনি চার কোটি ৯৯ লাখ ৫ হাজার ১৮৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। এসবকিছুও দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সবমিলিয়ে পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন আসামিরা এবং মোট আট কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৪৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। সেলিনা আক্তারকে সহযোগিতা করেছে তার স্বামী গোলাম কিবরিয়া হাজারী।
এজাহারে আরও বলা হয়, কাস্টমস বিভাগের চাকরিতে থাকা অবস্থায় অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদ অর্জন করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন কাস্টমস ট্রেডিং একাডেমির সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া হাজারী। গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী তার নামে থাকা টাকার আয় সংক্রান্ত কোন রেকর্ডপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি। কমিশন ব্যবসা থেকে আয়ের কথা বলা হলেও এ সংক্রান্ত কাগজও দেখাতে পারেননি। এছাড়া শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকৃত টাকার উৎস বিষয়ে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি।
ইচ এম কাদের,সি এন জন বাংলা ২৪