নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা:
ঢাকা: সম্প্রতি অস্থির হয়ে ওঠা বান্দরবানের বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুঃস্থ, গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর খামারবাড়িস্থ টিঅ্যান্ডটি মাঠে এই ঈদসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে মৎস্যজীবী লীগ।
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেটা, সেটা একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, বোম। এই নৃ-গোষ্ঠী রাঙ্গামাটিতে নেই, খাগড়াছড়িতে নেই, এরা আছে বান্দরবানে। এরা কিছু কিছু সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করেছে। এটা আমাদের নলেজে আছে। সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছে। যৌথ অভিযান চলছে। আমি মনে করি না, এতে গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হবে। এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। আমি আশা করি অচিরেই পরিস্থিতি শান্ত হবে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে কারা মেট্রোরেলে ভাড়ায় ভ্যাট ১৫ শতাংশ বাড়বে জুলাই থেকে এ ধরনের ঘোষণা দিল। এ সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। এটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবো। গণপরিবহণের একটি বিশেষ সেবাধর্মী পরিবহন মেট্রোরেল। মানুষ এর সুফল পাচ্ছে। এখনো কোথায় জুলাই মাস। আর আমরা এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তও নেইনি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোনো সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে হুট করে কারা এ ধরনের খবর দিলেন আমি জানি না।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, আজকে বিএনপি সমালোচনা করে বলে, সরকার দেশজুড়ে হরিলুট চালাচ্ছে। কীভাবে হরিলুট চলছে, কোথায় হরিলুট চলছে। অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না। সত্য বলুন। ৮০ ভাগ লোক জেলে আজকে মির্জা ফখরুল মায়া কান্না কাঁদেন। এই ৮০ ভাগের তালিকা কই, কোথায় হরিলুট চলছে আজকে সংকটে পরিস্থিতিকে সামাল দিতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন নেই, রাত নেই অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার জন্য। এখানে হরিলুটের বিষয় নয়।
আওয়ামী লীগ দেশে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, আমরা আজকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্বাধীন করেছি। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করেছি। এর আগে ছিল প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। এখন স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। পৃথিবীর কোনো দেশ দাবি করতে পারবে না যে, তাদের গণতন্ত্র পরিপূর্ণ। পরিপূর্ণতা কোথাও আসেনি। আমরাও চেষ্টা করছি। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান। এই প্রতিষ্ঠানকে যেকোনো মূল্যে আমরা বাঁচিয়ে রাখবো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে আমরা রমজান মাসের শেষ পর্যায়ে। এ মাসে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা এবং সারাদেশে উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের পার্টি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা নিজেরা ইফতার পার্টি করিনি। এবার গণভবনে ইফতার পার্টি হয়নি। গতবারও হয়নি। আমরা ইফতার পার্টি না করে অসহায়-গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করবো, এটাই আমাদের নেত্রীর নির্দেশ। সেভাবেই আমরা আমাদের রোজার মাসের পরিকল্পনা নিয়েছি এবং সেভাবেই সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিপদে-আপদে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো এটা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।
মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়ীদুর রহমান ও কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক।