মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি,
চরম আতংক থাকলেও নাইক্ষ্যংছড়িতে সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থায় টাকা লেন-দেন হয়েছে সব ধরণের ব্যাংকে। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে উপজেলার ৬টি শাখা-উপশাখা ব্যাংকে। এছাড়াও ৩টি এজেন্ট ব্যাংকিং খাতেও লেনদেন হয়েছে একই নিয়মে।
বৃহস্পতিবার বিকেলেরএমনটি জানিয়েছেন ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপকরা।তারা এ প্রতিবেদককে আরো বলেন,রুমা ও থানছিতে ব্যাংক লুটের ঘটনার ২ দিন পার হলেও চরম আতংকে আছেন তারা। যেহেতু টাকার বিষয় সুতারাং উভয় সংকট। একদিকে জীবন অপর দিকে ব্যাংকের টাকার দায়বদ্ধতা।
সব মিলে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। কেননা তাদের এক সহকর্মী এখনও পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কব্জায়। তার কী অবস্থা মোটেও বোঝা যাচ্ছে না। পাশাপাশি কতৃপক্ষের কঠোর অবস্থান।
এভাবে চরম আতংকে থাকা ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ পুরো ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিরাপদ রাখতে পুলিশ-বিজিবি টহল ও পাহারা বসিয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে সবধরণের লেনদেন করতে পারার মতো পুলিশ রাত-দিন ব্যাংক গুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে রয়েছে।
তারা আরো জানান,বৃহস্পতিবার নাইক্ষ্যংছড়ির সব শাখা-উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংক খোলা ছিল। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে লেদদেন হয়েছে।ঈদের কেনাকাটা ও দান-খয়রাতের জন্যে গ্রাহকরা টাকা উত্তোলনে ভীড় জমিয়েছে ব্যাংক গুলোতে।কিন্তু আগের দিন বুধবার বেলা ১২ টার পর থেকে বেশ কয়েকটি ব্যাংকে দরজায় লক দিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানান,গত মঙ্গল ও বুধবার দু’দফায় রুমা ও থানছিতে ৩ ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় বান্দরবানের অগ্রনী ব্যাংককের সব শাখা পরিবেশ স্বাভাবিক না হওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
রুমা ও থানছি উপজেলায় ডাকাতের কবলে পড়া ৩ ব্যাংক যথাক্রমে রুমা সোনালী ব্যাংক,থানছি কৃষি ব্যাংক ও থানছি সোনালী ব্যাংক সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক নাইক্ষ্যংছড়ি সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক
হোছাইন মাজমুদ আরাফাতএ প্রতিবেদককে বলেন,বান্দরবান জেলায় সোনালী ব্যাংকের ৩ শাখা প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর সার্বিক সহায়তায় খোলা রাখা হয়েছে।সোনালী ব্যাংকের এ শাখা গুলো হলো নাইক্ষ্যংছড়ি,লামা ও আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত।
তিনি আরো বলেন,আসন্ন ঈদুল ফিতরের আনন্দ যেন ম্লান না হয়,সবাই যেন যথাযথভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে তার জন্যে এ ব্যবস্থা রেখেছেন উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ।
অনুরূপ কথা জানান,নাইক্ষ্যংছড়ি জনতা ব্যাংকের ব্যবস্খাপক মমতাজ মিয়া। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন,ব্যাংকের সব স্টাফ চরম আতংকে। এ ব্যাংকের সব স্টাফের ছুটি বাতিল করা হয়। তিনি বুধবার রাতে ব্যাংকে অবস্খান করেছেন।
পাশাপাশি পুলিশ- বিজিবি টহল ও পাহারা দু’টা ই জোরদার করা হয় রাতে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া ব্যাংকিংসেক্টরের বিষযে বলেন,ব্যাংক গুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে রাখা হয়েছে। কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সর্বশেষ :নাইক্ষ্যংছড়িতে ব্যাংকিং সেক্টেরের সার্বিক পরিস্থিতি চলনসই। গ্রাহকরা ভোগান্তি ছাড়া লেন-দেন করেছে। অপহৃত ম্যানেজারকে সমঝোতায উদ্ধার
এদিকে রুমা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নেজামুদ্দিন সুস্থ আছেন এবং সমঝোতার মধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে। যে বিষয়ে শুক্রবার ১১ টায় বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রুমা বেথেল পাড়া থেকে যৌথ অভিযানে তাকে উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দফতরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।