আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ ইরানেরসোমবার রাতে তেহরানে বিক্ষোভে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ানো হয় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে নিজেদের কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলি হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান। সোমবার এ হামলার ঘটনা ঘটে।
খবর বিবিসির।
ইরানের প্রধান নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি বলেন, ইসরায়েল তাদের এ অপরাধের জন্য অনুশোচনা করবে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিও প্রতিশোধের ইঙ্গিত দেন।
ইরানের সরকারি টিভি চ্যানেল খবরে জানায়, দুই জেনারেলসহ রেভল্যুশনারি গার্ডসের সাতজন এবং ছয় সিরিয়ান নাগরিক নিহত হন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে তারা মন্তব্য করবে না।
তবে নাম প্রকাশ না করা ইসরায়েল সরকারের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, নিহতরা ইসরায়েল ও আমেরিকান সম্পদ ধ্বংসে দায়ী ছিলেন। তাদের আরও হামলার পরিকল্পনা ছিল। দূতাবাস হামলার লক্ষ্য ছিল না।
নিউইয়র্ক টাইমস চার ইসরায়েলি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ইসরায়েলই হামলা চালিয়েছে। ভবনটির কূটনৈতিক মর্যাদা অস্বীকার করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ায় বহু হামলা চালানোর অভিযোগ স্বীকার করেছে। তবে দেশটি বলছে, ইরান এবং সশস্ত্র বিভিন্ন গোষ্ঠী সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় হামলা হয়েছে। এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী রেভল্যুশনারি গার্ডসের অর্থায়নে ও প্রশিক্ষণে পরিচালিত হয়।