নিজস্ব প্রতিবেদক:
পশ্চিমের জেলাগুলোতে ভুট্টা চাষ বাড়ছে। খাদ্যশস্য চাষে ভুট্টা এখন দ্বিতীয় স্থানে। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় রবি মৌসুমে চাষিরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে। তবে এখনো লোকে ভুট্টা খাদ্যশস্য হিসেবে ব্যবহার করে না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে যশোর জেলায় ১ হাজার ৪২০ হেক্টরে, ঝিনাইদহ জেলায় ১৮ হাজার ১৩৪ হেক্টরে, মাগুরা জেলায় ১ হাজার ৩২৪ হেক্টরে, কুষ্টিয়া জেলায় ১১ হাজার ৫১০ হেক্টরে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪৯ হাজার ৬৬৫ হেক্টরে ও মেহেরপুর জেলায় ১৭ হাজার ৪৫০ হেক্টরে ভুট্টা চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে ভুট্টা ওঠানো শুরু হয়েছে। বিঘা প্রতি ৪০ মন থেকে ৪৫ মন ফলন হচ্ছে। আর প্রতি মন ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যাপারিরা এসে বাড়ি থেকেও ভুট্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর গ্রামের মঞ্জুর আলম ঢালী জানান, এবার সাত বিঘাতে তারা ভুট্টা চাষ করেছেন। আবহাওয়া ভালো
থাকায় ফলন ভালো হচ্ছে। বিঘা প্রতি ৪০-৪৫ মন ফলন পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি মন ভুট্টা ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, এক বিঘায় ভুট্টা চাষে ১৫-১৬ হাজার টাকা খরচ হয়। ভুট্টায় পোকামাকড়ের আক্রমণও কম হয়ে থাকে বলে জানান তিনি। চুয়াডাঙ্গা জেলার বাস্তেডাঙ্গা গ্রামের চাষি আব্দুস সামাদ বলেন, তিনি সাত বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। এবার ফলন ভালো হচ্ছে। ৮০ মন ভুট্টা ১ হাজার ৩০০ টাকা মন দরে বিক্রি করেছেন। এ অঞ্চলের ভুট্টা কেনাবেচার প্রধান হাট হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলার সরোজড়ঞ্জ বাজার। ব্যবসায়ীরা ভুট্টা কিনে পোলট্রি ফিড তৈরির কারখানায় চালান পাঠায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, পশ্চিমের জেলাগুলোতে ভুট্টা চাষ বাড়ছে। ধানের পরই ভুট্টার স্থান। দাম ভালো পেয়ে চাষি খুশি।
পৃথিবীর অনেক দেশে ভুট্টা প্রধান খাদ্যশস্য। আমাদের দেশে লোকে সখ করে ভুট্টাখই ও অন্যান্য হালকা খাবার তৈরিতে ব্যবহার করে থাকে।